বাংলাদেশ ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক সেবন নিয়ে মারামারি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৫২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
  • ১৬৫৭ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক সেবন নিয়ে মারামারি

 

রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন বিভাগের তিন জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে রাবির চারুকলার এই ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ শেখ বন্ধন এবং গ্রাফিক ডিজাইন ও কারুশিল্প বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান পুলক ও পেন্টিং ওরিয়েন্টাল আর্ট ও প্রিন্টমেকিং বিভাগের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অপু।

জানা গেছে, বন্ধন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। অন্যদিকে পুলক বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চারুকলা অনুষদ চত্ত্বরের মুক্ত মঞ্চের পিছনে সৌরভ শেখ বন্ধন বান্ধবীসহ গাঁজা সেবন করছিলো। অপু ও পুলক বন্ধনকে গাঁজা সেবনে বাধা দেওয়ায় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি লাগলে মেহেদী হাসান পুলক সৌরভ শেখ বন্ধনের মাথায় হেলমেট দিয়ে আঘাত করলে বন্ধনের মাথা হালকা কেটে রক্তপাত হয়।পরবর্তীতে সৌরভ শেখ বন্ধন আহত অবস্থায় তার বন্ধুদের ফোনে জানালে ১০/১৫ জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অপু ও পুলককে মারধর করে আহত করে এবং চারুকলা চত্ত্বেরর রফিকের দোকান ভাঙচুর করে।

এ ঘটনায় মেহেদী হাসান পুলক বলেন, তারা চারুকলার মুক্তমঞ্চের পিছনে বসে গাঁজা সেবন করছিলো। আমি এবং অপু ভাই তাদেরকে মানা করলে একটা সময় তারা আমার সাথে ধাক্কাধাক্কি করে। এক পর্যায়ে ওরা আমকে মারধর করা শুরু করে। এক পর্যায়ে মারামারি করতে করতে আমরা পাশের রফিক ভাইয়ের দোকানে চলে যাই। পরে আমি সবাইকে ফোন দিয়ে আসতে বলি। রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গালিব ভাইকেও আসতে বলি। এদিকে বন্ধনরা বাঁশ, লাঠি হাতে প্রায় ৪০/৫০ জন জড়ো হয়ে রফিক ভাইয়ের দোকানে এসে আমাকে মারধর শুরু করে। অপু ভাইকেও মারধর করে। অপু ভাইয়ের গাড়ি ভাঙচুর করে। আমি তাদেরকে এভাবেও বলি যে গালিব ভাইরা আসছেন,  তারা আসলে কথা বলি কিন্তু তারা শুনেনি, তারা মারধর করতে থাকে। তারপর চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে এসেও নামতে পারছিলাম না। তারপরে ভাইরা আসলো পরে চিকিৎসা নেই।

অন্যদিকে বন্ধন গাঁজা খাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, চারুকলায় অবস্থানকালে হঠাৎ ক্যাম্পাসের কয়েকজন আমার কাছে জানতে চায় তোরা কারা? কি করতে এসেছিস এখানে? আমরা নিজেদের পরিচয় দেওয়ার পর তাদের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। তারপর সেখানে অপু ভাই এবং পুলক ভাই উপস্থিত হয়। তখন তারা আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং আমার কাপড় ধরে টানাটানি করে এবং চর থাপ্পর দেয়৷ তখন আমার জামা ছিঁড়ে যায়। তখন তাদের মধ্যে একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং মাথা ফাটিয়ে দেয়।

এদিকে দোকানদার রফিক বলেন, বন্ধনরা আমার দোকান ভাঙচুর করে এবং ৫-৬ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, কী নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত তার সঠিক খবর জানিনা কিন্তু এখানে এসে জানতে পারি গাজা খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে। যারা মার খেয়েছে তারাও আমাদের ছাত্র আবার যারা মারছে তারাও বলতেছে তারা ছাত্র কিন্তু আমরা জানিনা তারা কারা। যেহেতু ঘটনাটি চারুকলা অনুষদের ভিতরে ঘটেছে তাই আমি তাদের বলেছি ডীন বরাবর একটি আবেদনপত্র লেখতে তারপর ডীন তা তদন্ত করে ব্যাবস্থা নিবে। তারপর আমরাও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।

চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি এবং আরও কয়েকজন অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ঘটনার কথা শুনে এখানে আসার পর শুনি বহিরাগতরা(ওরা কারা কোন ডিপার্টমেন্ট আমি জানিনা) বসে গাজা খাচ্ছিলো। আমাদের কিছু ছাত্র এখানে বসা ছিল তারা গাজা খেতে নিষেধ করাতে এখানে বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক সেবন নিয়ে মারামারি

আপডেট সময় ০৮:৫২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

 

রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন বিভাগের তিন জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে রাবির চারুকলার এই ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ শেখ বন্ধন এবং গ্রাফিক ডিজাইন ও কারুশিল্প বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান পুলক ও পেন্টিং ওরিয়েন্টাল আর্ট ও প্রিন্টমেকিং বিভাগের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অপু।

জানা গেছে, বন্ধন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। অন্যদিকে পুলক বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চারুকলা অনুষদ চত্ত্বরের মুক্ত মঞ্চের পিছনে সৌরভ শেখ বন্ধন বান্ধবীসহ গাঁজা সেবন করছিলো। অপু ও পুলক বন্ধনকে গাঁজা সেবনে বাধা দেওয়ায় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি লাগলে মেহেদী হাসান পুলক সৌরভ শেখ বন্ধনের মাথায় হেলমেট দিয়ে আঘাত করলে বন্ধনের মাথা হালকা কেটে রক্তপাত হয়।পরবর্তীতে সৌরভ শেখ বন্ধন আহত অবস্থায় তার বন্ধুদের ফোনে জানালে ১০/১৫ জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অপু ও পুলককে মারধর করে আহত করে এবং চারুকলা চত্ত্বেরর রফিকের দোকান ভাঙচুর করে।

এ ঘটনায় মেহেদী হাসান পুলক বলেন, তারা চারুকলার মুক্তমঞ্চের পিছনে বসে গাঁজা সেবন করছিলো। আমি এবং অপু ভাই তাদেরকে মানা করলে একটা সময় তারা আমার সাথে ধাক্কাধাক্কি করে। এক পর্যায়ে ওরা আমকে মারধর করা শুরু করে। এক পর্যায়ে মারামারি করতে করতে আমরা পাশের রফিক ভাইয়ের দোকানে চলে যাই। পরে আমি সবাইকে ফোন দিয়ে আসতে বলি। রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গালিব ভাইকেও আসতে বলি। এদিকে বন্ধনরা বাঁশ, লাঠি হাতে প্রায় ৪০/৫০ জন জড়ো হয়ে রফিক ভাইয়ের দোকানে এসে আমাকে মারধর শুরু করে। অপু ভাইকেও মারধর করে। অপু ভাইয়ের গাড়ি ভাঙচুর করে। আমি তাদেরকে এভাবেও বলি যে গালিব ভাইরা আসছেন,  তারা আসলে কথা বলি কিন্তু তারা শুনেনি, তারা মারধর করতে থাকে। তারপর চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে এসেও নামতে পারছিলাম না। তারপরে ভাইরা আসলো পরে চিকিৎসা নেই।

অন্যদিকে বন্ধন গাঁজা খাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, চারুকলায় অবস্থানকালে হঠাৎ ক্যাম্পাসের কয়েকজন আমার কাছে জানতে চায় তোরা কারা? কি করতে এসেছিস এখানে? আমরা নিজেদের পরিচয় দেওয়ার পর তাদের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। তারপর সেখানে অপু ভাই এবং পুলক ভাই উপস্থিত হয়। তখন তারা আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং আমার কাপড় ধরে টানাটানি করে এবং চর থাপ্পর দেয়৷ তখন আমার জামা ছিঁড়ে যায়। তখন তাদের মধ্যে একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং মাথা ফাটিয়ে দেয়।

এদিকে দোকানদার রফিক বলেন, বন্ধনরা আমার দোকান ভাঙচুর করে এবং ৫-৬ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, কী নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত তার সঠিক খবর জানিনা কিন্তু এখানে এসে জানতে পারি গাজা খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে। যারা মার খেয়েছে তারাও আমাদের ছাত্র আবার যারা মারছে তারাও বলতেছে তারা ছাত্র কিন্তু আমরা জানিনা তারা কারা। যেহেতু ঘটনাটি চারুকলা অনুষদের ভিতরে ঘটেছে তাই আমি তাদের বলেছি ডীন বরাবর একটি আবেদনপত্র লেখতে তারপর ডীন তা তদন্ত করে ব্যাবস্থা নিবে। তারপর আমরাও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।

চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি এবং আরও কয়েকজন অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ঘটনার কথা শুনে এখানে আসার পর শুনি বহিরাগতরা(ওরা কারা কোন ডিপার্টমেন্ট আমি জানিনা) বসে গাজা খাচ্ছিলো। আমাদের কিছু ছাত্র এখানে বসা ছিল তারা গাজা খেতে নিষেধ করাতে এখানে বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়।