বাংলাদেশ ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

প্রচন্ড তাপপ্রবাহের জনজীবন বিপর্যয়ের মুখে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৪০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
  • ১৬৩৯ বার পড়া হয়েছে

প্রচন্ড তাপপ্রবাহের জনজীবন বিপর্যয়ের মুখে

 

নুরুন নাহার বেবী সিলেট।

এবছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ২০২২ সালেই তাপমাত্রার এই রেকর্ড দুই দফায় ছাড়িয়ে যায়। প্রথম দফায় ২০২২ সালের ১৩ জুলাই সিলেটে তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, যা ২০২১ সালের রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থেকে বেশি। দ্বিতীয় দফায় এর পরের দিনই অর্থাৎ ১৪ জুলাই সিলেটে ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা এখন পর্যন্ত সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

উপরোক্ত প্রতিবেদনগুলো থেকে স্পষ্ট, সিলেটে ৬ দশকের বেশি সময় তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির ঘর না ছাড়ানোর এবং একইসঙ্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠার তথ্যটি সঠিক নয়।

সিলেটে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম কেন?

এই প্রসঙ্গে জানতে ফ্যাক্টচেক বিভাগ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

তিনি বলেন, এটি মূলত সিলেটের ভৌগোলিক কারণের জন্য। সিলেটের ভৌগোলিক অবস্থানটা এমন যে, একপাশে পাহাড়বেষ্টিত এবং আরেক পাশে বিস্তীর্ণ হাওড়াঞ্চল। এই মৌসুমে বাতাস আসে পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম থেকে। পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিমের বাতাসে অনেক জলীয় বাষ্প থাকে। এই জলীয় বাষ্পকে শীতলকরণে ভূমিকা রাখে হাওড়াঞ্চল।

এই জলীয় বাষ্প বাকিটা শীতল হয় সিলেটের পূর্বদিকে থাকা বড় বড় পাহাড়ের কারণে। পাহাড়ের ওপর তাপমাত্রা কিন্তু অনেক কম থাকে। জলীয় বাষ্পগুলো এই পর্যন্ত এসে আরও শীতল হয়, যার ফলে সেই জলীয় বাষ্পগুলো মেঘে পরিণত হয়, যার ফলে সিলেটে বৃষ্টি হয় এবং বৃষ্টি হলেই তাপমাত্রা কম থাকবে।

সিলেটে ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র রের্কড হয়েছিল। তীব্র গরমে সিলেট নগরীতে দুপুরে মানুষের চলাচলও কমে গেছে।

সিলেটে ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ্ মো. সজিব হোসেন বলেন, শনিবার বেলা ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা থাকতে পারে।

সিলেটে ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র রের্কড হয়েছিল। এরপর এটাই সর্বোচ্চ। দেশে সাধারণত মার্চ-জুন গরম বেশি থাকে। এই সময়ে বৃষ্টি হলে গরম কিছুটা কমে। আগামী কয়েক দিন এ রকম গরম থাকতে পারে। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানান সহকারী আবহাওয়াবিদ সজিব হোসেন।

সিলেট নগরীর হাওয়াপাড় সম্মুখে রিকশাচালক রমিজ উদ্দিন বলেন, এত গরম করা যায় না । পরিবারে এতগুলি লোক কি দিয়া মুখ ভরাইবো। রিকসাও চালাইতে পারি না রিকশা চালাইলে ভেতরটা তূষ্ণায় ফেটে যায় যায়। এভাবে বাঁচার উপায় নাই আমরার মত গরিবদের।

নগরীর আজকের গরমে অবস্থা শেষ। রাস্তার কোথাও কোথাও গালা (পিচ) গলতেও দেখা গেছে; তবে বেশি গলেনি। এভাবে গরম থাকলে জনজীবনে প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে শ্রমজীবীদের অবস্থা বেশি খারাপ হবে। কয়েকদিন ধরে সিলেটে বৃষ্টিও হচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে জনজীবন বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

প্রচন্ড তাপপ্রবাহের জনজীবন বিপর্যয়ের মুখে

আপডেট সময় ১২:৪০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

 

নুরুন নাহার বেবী সিলেট।

এবছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ২০২২ সালেই তাপমাত্রার এই রেকর্ড দুই দফায় ছাড়িয়ে যায়। প্রথম দফায় ২০২২ সালের ১৩ জুলাই সিলেটে তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, যা ২০২১ সালের রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থেকে বেশি। দ্বিতীয় দফায় এর পরের দিনই অর্থাৎ ১৪ জুলাই সিলেটে ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা এখন পর্যন্ত সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

উপরোক্ত প্রতিবেদনগুলো থেকে স্পষ্ট, সিলেটে ৬ দশকের বেশি সময় তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির ঘর না ছাড়ানোর এবং একইসঙ্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠার তথ্যটি সঠিক নয়।

সিলেটে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম কেন?

এই প্রসঙ্গে জানতে ফ্যাক্টচেক বিভাগ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

তিনি বলেন, এটি মূলত সিলেটের ভৌগোলিক কারণের জন্য। সিলেটের ভৌগোলিক অবস্থানটা এমন যে, একপাশে পাহাড়বেষ্টিত এবং আরেক পাশে বিস্তীর্ণ হাওড়াঞ্চল। এই মৌসুমে বাতাস আসে পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম থেকে। পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিমের বাতাসে অনেক জলীয় বাষ্প থাকে। এই জলীয় বাষ্পকে শীতলকরণে ভূমিকা রাখে হাওড়াঞ্চল।

এই জলীয় বাষ্প বাকিটা শীতল হয় সিলেটের পূর্বদিকে থাকা বড় বড় পাহাড়ের কারণে। পাহাড়ের ওপর তাপমাত্রা কিন্তু অনেক কম থাকে। জলীয় বাষ্পগুলো এই পর্যন্ত এসে আরও শীতল হয়, যার ফলে সেই জলীয় বাষ্পগুলো মেঘে পরিণত হয়, যার ফলে সিলেটে বৃষ্টি হয় এবং বৃষ্টি হলেই তাপমাত্রা কম থাকবে।

সিলেটে ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র রের্কড হয়েছিল। তীব্র গরমে সিলেট নগরীতে দুপুরে মানুষের চলাচলও কমে গেছে।

সিলেটে ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ্ মো. সজিব হোসেন বলেন, শনিবার বেলা ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা থাকতে পারে।

সিলেটে ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র রের্কড হয়েছিল। এরপর এটাই সর্বোচ্চ। দেশে সাধারণত মার্চ-জুন গরম বেশি থাকে। এই সময়ে বৃষ্টি হলে গরম কিছুটা কমে। আগামী কয়েক দিন এ রকম গরম থাকতে পারে। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানান সহকারী আবহাওয়াবিদ সজিব হোসেন।

সিলেট নগরীর হাওয়াপাড় সম্মুখে রিকশাচালক রমিজ উদ্দিন বলেন, এত গরম করা যায় না । পরিবারে এতগুলি লোক কি দিয়া মুখ ভরাইবো। রিকসাও চালাইতে পারি না রিকশা চালাইলে ভেতরটা তূষ্ণায় ফেটে যায় যায়। এভাবে বাঁচার উপায় নাই আমরার মত গরিবদের।

নগরীর আজকের গরমে অবস্থা শেষ। রাস্তার কোথাও কোথাও গালা (পিচ) গলতেও দেখা গেছে; তবে বেশি গলেনি। এভাবে গরম থাকলে জনজীবনে প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে শ্রমজীবীদের অবস্থা বেশি খারাপ হবে। কয়েকদিন ধরে সিলেটে বৃষ্টিও হচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে জনজীবন বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।