
আকতারুজ্জামান নাইম
নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর মান্দায় দূর্নীতিবাজ উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন আরইআরএমপি-২,৩ ও এলসিএস প্রকল্পের মহিলা শ্রমিকেরা।
রবিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে প্রকৌশলীর অপসারণ চেয়ে ঘন্টাব্যাপি মহিলা শ্রমিকেরা মানববন্ধন করেন।
আলতাফুননেছা আলতার নেতৃত্বে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক ভূক্তভোগী মহিলা অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী মহিলারা অভিযোগ করে বলেন, প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞার ছত্র-ছায়ায় সিও আবুল কাসেমের মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। চকরির নামে দেওয়া টাকা ফেরত চাইলেও ফেরত না দিয়ে টালবাহনা শুরু করেন। প্রত্যেক মহিলাকে চাকরি দেওয়ার নামে ৫০-৮০ হাজার টাকা করে আদায় করে নিয়েছেন।
সিও আবুল কাসেম আরইআরএমপি- ২,৩ ও এলসিএস মহিলাদের বেতন উত্তোলনের সময় মাষ্টার রোলে নিজে স্বাক্ষর করে বেতন উত্তোলন করেন। এরপর সিও কাসেম বেতন উত্তোলনের পর ইচ্ছামত ওই সব মহিলাদের বেতন কর্তন করে পকেটস্থ করেন। কিছু বললে চাকরি থাকবেনা বলে হুমকি দেন। ভয়ে সব কিছু চুপচাপ থেকে সহ্য করে নেন ভুক্তভোগী অসহায় মহিলারা। প্রকৌশলীর সহযোগিতায় সিও কাসেম বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী মহিলারা আরো জানান, প্রকৌশলীর ক্ষমতায় সিও কাসেম ১২ মাসের বেতনের পরিবর্তে ১০ মাসের বেতন দিতেন। এই বেতনের মধ্যে আবার তিনি বেতন কর্তন করতেন। বেতন উত্তোলনের পর সিও বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেতন পৌঁছে দিতেন। যাদের বেতন ৫ হাজার তাদেরকে দিতেন ৪ হাজার টাকা। আবার যাদের বেতন ৬ হাজার তাদেরকে দিতেন ৫ হাজার টাকা। কিছু বললেই চাকরি থাকবেনা বলে ভয়ভীতি দেখান তিনি। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী নারীরা অচিরেই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা শাইদুর রহমান মিঞার অপসারণ ও তার শাস্তির জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষানবিস আইনজীবী সোনিয়া সিমু, এলসিএস প্রকল্পের আরতাফুননেছা, শরিফুন বেওয়া, জায়েদা বেগম, ছবিজান বেগম, সাজেদা বেগম, কাজল রেখা, আরইআরএমপি-৩ প্রকল্পের পেয়ারা বেগম ও আঙ্গুর বেগম।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) শাইদুর রহমান মিঞা অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগ যে কেউ করতে পারে। এবিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বোঝা যাবে আসল ঘটনা।