
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।।
ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈলে উপজেলায় বিক্ষোভ প্রদশর্ন করে ছাত্রসহ বিভিন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার নাগরিক।গত ৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের বাড়ি-ঘর মন্দির, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ চালায় আন্দোলন কারীরা। লুটপাটের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। হিন্দুদের উপর নিপীড়ন বন্দের দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নাগরিক আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণার হুশিয়ারী দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
১০ই আগস্ট শনিবার পৌর শহরের ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক সাথে জমায়েত হয় প্রায় ৮-১০ হাজার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। পরে উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে বিভিন্ন ব্যানার ফ্যাস্টুন নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। পরে রানীশংকেল ডিগ্রি কলেজ মাঠে শহীদ মিনারে উপস্থিত বক্তব্য দেন, উপজেলা নিবার্হী কমকর্তা রাকিবুল হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল ফারুক হোসেন, ক্যাপ্টেন মুহতাশিন, হিন্দু- বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রাণ গোবিন্দ সাহা বাচ্চু, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ছবি কান্ত দেব।
এ সময় আন্দোলন রতরা বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর যেভাবে অত্যাচার-নিপীড়নসহ মন্দির ভাঙচুর করা হয়, এটার প্রতিবাদ জানানোর জন্যই আমরা আজকে এখানে সবাই একত্রিত হয়েছি। বিভিন্ন স্থানে মন্দির, প্রতীমা, হিন্দুদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করেন তারা এবং সেই সাথে দ্রুত ঘর বাড়ি মন্দির ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ কারীদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহণের তাগিদ দেন সংখ্যা লঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা।