
ঃ আবুল হাসান কোটচাঁদপুর
২ নং মধুহাটী ইউনিয়ন সুতিদূর্গাপুর গ্রামের জন্ম প্রতিবন্ধি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বয়স ৩৬ বছর। তিনি স্কুলে যাওয়ার ভাগ্য তাহার জীবনে হয়নি। জন্মের পর তার পিতা মৃত্যু বরণ করেন। অভাবের সংসার তাতে আবার প্রতিবন্ধী কে নিয়ে যাবে কোলে করে স্কুলে। কে দিবে স্কুলের খরচ বা কে দিবে দু মুঠো খাবার। বড় দুই ভাই দুই বোন তারপর বিধবা মা সবাই ভাইদের উপর মরার উপর খারা। তাদের কাজ হলে খাওয়া না হলে উপোষ যেতে হতো। তাই ভাগ্যে যোটিনি লেখা পড়া। আজ ১৬ বছর আগে পাশের গ্রামের এক এতিম মা মরা গরীব মেয়ের সাথে বিবাহ হয় প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীরের। কে দিবে মেয়ে আর কে ইচ্ছা করে এমন জন্ম প্রতিবন্ধীর সংসার করতে চাই। এরই মাঝে প্রথম এক কন্যা সন্তানের জন্ম ইচ্ছা ছিল প্রতিবন্ধী পিতার হাল ধরতে একটি ছেলে সন্তানের।
কিন্তু এটা তো বিধাতার খেলা আবারও হলো একটি কন্যা আবার ও হলো একটি কন্যা এই ভাবে ছেলের আশায় তিনটি কন্যা বিধাতা এবার এক পুত্র সন্তান দিয়েছেন। এই ভাবেই সংসার হলো বড় ৪ সন্তান ও স্বামী স্ত্রী সহ মোট ৬ জন। সংবাদ সংগ্রহকারি কে বলতে যেয়ে তিনি ক্রন্দনরত হয়ে বলেন। সরকারি প্রতিবন্ধী ভাতা আজ ৩ বছর আগে হয়েছে প্রতি ৬ মাস পর ৪৪০০ টাকা দেয় তাতে বড় মেয়ের বয়স ১৪ বছর। তিন কন্যাসন্তানের লেখা পড়া কোন রকম হয় না। তাদের কাপড় কিন্তে পারিনা কোন রকম গ্রামের ভিতর চা বিক্রি করে চলছে ৬ সদস্যের সংসার। আমার সরকারি ভাবে কোন গাড়ি আমি পাইনি বা দেয়নি। আমি অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে পারি না।
আমি অন্যের কাছে ভিক্ষাবৃত্তি করতে লজ্জা পায়। বিভিন্ন এন জি ও থেকে লোন নিয়ে চায়ের দোকানে ব্যবসা। বর্তমান আমি এন জি ও লোনে জর্জরিত তাতে মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত। আমার যদি সরকার বা কোন বিত্তশালী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে উপকৃত করলে আমি সারা জীবন দোয়া করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দেশের কোন রিদয়বান ব্যাক্তি যদি এই জন্ম প্রতিবন্ধির জন্য এগিয়ে আসলে ০১৭৬৬২৯৫৩১৬ আমার মোবাইল নং। আমি চলাচলের জন্য যদি কেউ একটি মটর চালিত ভ্যানদিয়ে সাহায্যে করলে আমি চলতে পারবো ইনশাআল্লাহ।