
সজীব হাসান, আদমদিঘী( বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার আদমদীঘিতে ধর্ষণ মামলার বাদী হওয়ায় স্ত্রীর মাথার চুল কেটে নির্যাতন করায় স্বামী রফিকুল ইসলামকে (৪৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রফিকুল উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির কোমারপুর গ্রামের শিয়ালগাড়ীপাড়ার মৃত ইবারত আলীর ছেলে। শুক্রবার দুপুরে ওই গৃহবধূর দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর সঙ্গে প্রায় ১৮মাস আগে উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির কোমারপুর গ্রামের শিয়ালগাড়ীপাড়ার মৃত ইবারত আলীর ছেলে রফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ওই গৃহবধৃ জানতে পারেন তার স্বামী একজন বদমেজাজী এবং ইতিপূর্বে একাধিক বিয়ে করে ছিলেন।
তারপরও নিরুপায় হয়ে স্বামীর সংসার করতে থাকে। কিন্তুু রফিকুলের প্রতিবেশি ভাতিজা দুলু ফকির ভুক্ত ভোগী গৃহবধূকে নানাডাবে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ১৭ মার্চ বেলা সাড়ে১১টার দিকে স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে দুলু ফকির ভুক্তভোগীর বাড়িতে ঢুকে চাকুধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ওই দিনই বেলা আড়াইটায় দুলুর ছােট ভাই হান্নান ফকির ওই গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে বড় ভাইয়ের ধর্ষণর বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানিয়ে দিয়ে তার সংসার ভেঙে দিবে বলে হুমকি দিয়ে তিনিও তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে দুলু ফকির বারবার তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিলে বাধ্য হয় স্বামীকে ঘাটনাটি জানায়।
পরে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে বুধবার রাতে দুই সহােদরকে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। এ ঘটনায় প্রতিবেশিরা স্বামী রফিকুল ইসলামকে স্ত্রী সম্পর্কে নানা ধরনের কথা বললে তিনি স্ত্রীর প্রতি ক্ষিপ্ত হন। এর জের ধরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বসত বাড়ির আঙিনায় তিনি স্ত্রীকে মারপিট করেন। একপর্যায়ে তার মাথার চুল কেটে দিয়ে পাড়া-মহল্লায় প্রতিবেশিদের সামনে ঘুরিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে স্বামী রফিকুলকে গ্রেফতার এবং ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন জানান,শুক্রবার সকালে ওই গৃহবধূর দায়ের করা মামলায় তার স্বামী রফিকুলকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।