বাংলাদেশ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

কোম্পানীগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়ম

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৪৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
  • ১৭১৪ বার পড়া হয়েছে

কোম্পানীগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়ম

 

 

 

 

নোয়াখালী প্রতিনিধি

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চরএলাহী বাজার সংলগ্ন সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর ২০টি ঘর নির্মাণের কাজের শুরু থেকে নিম্নমানের ইট,বালু,সিমেন্ট,রড দিয়ে কাজ শুরু করে ঠিকাদার। একপর্যায়ে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠলে ঠিকাদার কিছু খারাপ ইট সরিয়ে নেন। তবে এরপর পুনরায় ঘর নির্মাণের কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার শুরু করে ঠিকাদার। গত দেড় মাস ধরে এ ঘর নির্মাণ কাজ চলছে।

একাধিকবার নির্মাণাধীন ঘর দেখতে গেলে এমন অভিযোগ করে স্থানীয় এলাকাবাসী। ২০টি ঘরের নির্মাণ কাজ ঘুরে দেখা গেছে নানা অনিয়ম। ঘর নির্মাণের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনের তুলনায় সিমেন্টের পরিমাণ কম মিশিয়ে চলছে ইটের গাঁথুনি। গাঁথুনির পর দেয়ালে দেয়া হচ্ছে না পানি। পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটিও রয়েছে। যে কমিটি’র সভাপতি ইউএনও আর সদস্য সচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। কমিটিতে কয়েক জন সদস্যও রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ইউএনও একাই পুরো প্রকল্পের সব কিছু করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার জাকির হোসেন ওরফে হাজী নিজাম বলেন, একটা ঘর প্রতি ২লাখ ৪০হাজার টাকা বরাদ্দ। ইটের হাজার হচ্ছে ১২ হাজার টাকা। এখনো স্যারের প্রতি ঘরে যাবে ৩০হাজার টাকা। আমি লেবার দিচ্ছি ইউএওন স্যার রড,সিমেন্ট,বালু,ইটসহ মালমার্তা কিনে দিচ্ছে। এটা কোন লাইসেন্সের কাজ নয়,কথা শেষ, এটা ঊনাদের কাজ। ইউএনও স্যার কোন ঘরে ২০ হাজার লচ দিচ্ছে কোন ঘরে ৪০ হাজার লচ দিচ্ছে। প্রকল্প করতে হবেই মাস্ট।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জোবায়ের হোসেন বলেন, কাজে ক্রটি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৎকালীন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্তমান চানিন্দা উপজেলার (ইউএনও) মো.জিয়াউল হক মীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণ সামগ্রী ঠিকাদারকে কিনে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন কিনে দিচ্ছে কিনা সেটা। এখন ইউএনও কিনে দিচ্ছে মনে হয়, জিজ্ঞেস করেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন এমন হওয়ার কথা নয়। গত সপ্তাহে আমি গিয়ে আসলাম। ঠিকাদার বলছে ইউএনও সব মাল ক্রয় করে দিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ঠিকাদার ভুল বলছে সে সব কিছু কিনবে। আমি ঠিকাদারকে কালকে আমার অফিসে ডাকাবো।

ইউএনও আরও বলেন, আমি তাঁর কাছ থেকে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার নামা নিয়েছি। যদি কোন দুই নম্বরি কিছু করে। ডিজাইন অনুসারে কাজ না করে তাহলে তাকে আমি বিল দিবো না।

 

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

কোম্পানীগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়ম

আপডেট সময় ০৩:৪৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২

 

 

 

 

নোয়াখালী প্রতিনিধি

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চরএলাহী বাজার সংলগ্ন সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর ২০টি ঘর নির্মাণের কাজের শুরু থেকে নিম্নমানের ইট,বালু,সিমেন্ট,রড দিয়ে কাজ শুরু করে ঠিকাদার। একপর্যায়ে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠলে ঠিকাদার কিছু খারাপ ইট সরিয়ে নেন। তবে এরপর পুনরায় ঘর নির্মাণের কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার শুরু করে ঠিকাদার। গত দেড় মাস ধরে এ ঘর নির্মাণ কাজ চলছে।

একাধিকবার নির্মাণাধীন ঘর দেখতে গেলে এমন অভিযোগ করে স্থানীয় এলাকাবাসী। ২০টি ঘরের নির্মাণ কাজ ঘুরে দেখা গেছে নানা অনিয়ম। ঘর নির্মাণের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনের তুলনায় সিমেন্টের পরিমাণ কম মিশিয়ে চলছে ইটের গাঁথুনি। গাঁথুনির পর দেয়ালে দেয়া হচ্ছে না পানি। পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটিও রয়েছে। যে কমিটি’র সভাপতি ইউএনও আর সদস্য সচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। কমিটিতে কয়েক জন সদস্যও রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ইউএনও একাই পুরো প্রকল্পের সব কিছু করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার জাকির হোসেন ওরফে হাজী নিজাম বলেন, একটা ঘর প্রতি ২লাখ ৪০হাজার টাকা বরাদ্দ। ইটের হাজার হচ্ছে ১২ হাজার টাকা। এখনো স্যারের প্রতি ঘরে যাবে ৩০হাজার টাকা। আমি লেবার দিচ্ছি ইউএওন স্যার রড,সিমেন্ট,বালু,ইটসহ মালমার্তা কিনে দিচ্ছে। এটা কোন লাইসেন্সের কাজ নয়,কথা শেষ, এটা ঊনাদের কাজ। ইউএনও স্যার কোন ঘরে ২০ হাজার লচ দিচ্ছে কোন ঘরে ৪০ হাজার লচ দিচ্ছে। প্রকল্প করতে হবেই মাস্ট।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জোবায়ের হোসেন বলেন, কাজে ক্রটি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৎকালীন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্তমান চানিন্দা উপজেলার (ইউএনও) মো.জিয়াউল হক মীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণ সামগ্রী ঠিকাদারকে কিনে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন কিনে দিচ্ছে কিনা সেটা। এখন ইউএনও কিনে দিচ্ছে মনে হয়, জিজ্ঞেস করেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন এমন হওয়ার কথা নয়। গত সপ্তাহে আমি গিয়ে আসলাম। ঠিকাদার বলছে ইউএনও সব মাল ক্রয় করে দিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ঠিকাদার ভুল বলছে সে সব কিছু কিনবে। আমি ঠিকাদারকে কালকে আমার অফিসে ডাকাবো।

ইউএনও আরও বলেন, আমি তাঁর কাছ থেকে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার নামা নিয়েছি। যদি কোন দুই নম্বরি কিছু করে। ডিজাইন অনুসারে কাজ না করে তাহলে তাকে আমি বিল দিবো না।