বাংলাদেশ ০২:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

যমুনাসহ ৪ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, ডুবে গেছে সাড়ে ৭০০ বিঘা জমির বোরো ধান 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:১১:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
  • ১৭২৯ বার পড়া হয়েছে

যমুনাসহ ৪ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, ডুবে গেছে সাড়ে ৭০০ বিঘা জমির বোরো ধান 

মোঃ আখতার হোসেন হিরন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : 
যমুনা, করতোয়া, বড়াল ও হুড়াসাগর নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী আরও ২০০ বিঘা নিচু জমির বোরো ধান ডুবে গেছে। ফলে উপজেলার কৈজুরি, সোনাতনী, গালা ও জালালপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের নিচু জমির কাঁচা ও আধাপাকা ধান সবচেয়ে বেশি ডুবে যাওয়ায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকে পানি থেকে কাঁচা ধান কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছে। অনেকে আবার আধাপাকা ধান মাড়াই করে কিছুটা চাউল বের করার চেষ্টা করছে। এছাড়া পানি বৃদ্ধির কারণে নদী তীরবর্তী তিল, ভূট্রা, বাদাম ও কাউনি ডুবে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে সানাতনী গ্রামের জিয়া উদ্দিন, নূর ইসলাম, বাদশাহ মিয়া, ইব্রাহিম হোসেন, ছোট চানতারা গ্রামের খোরশেদ আলম ও বানতিয়ার গ্রামের অয়জাল সরকার, হোসেন আলী ও আলম শেখ বলেন, হঠাৎ নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে আমাদের এ এলাকার অন্তত ১১৫ বিঘা জমির ধান ডুবে গেছে। এধান দিয়ে তারা বছরের অর্ধেক সময় খাদ্যর চাহিদা মিটিয়ে থাকে। এ ধান ডুবে যাওয়ায় তারা চরম দূঃশ্চিন্তায় পড়েছে। কাঁচা ধান কেটে তারা গরুকে খাওয়াচ্ছে। কৃষকের এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তারা সরকারের সাহায্য সহযোগিতা কামনা করেছে।
এদিকে বুধবার দুপুরে চুনিয়াখালিপাড়া ও থানার ঘাট ব্রীজের নিচের নিচু জমি ঘুরে দেখা যায়, কামলার অভাবে কৃষকরা বাড়ির ঝি বৌ ও শিশু সন্তানদের দিয়ে ধানকাটা, মাথায় করে বহণ ও মাড়াই কাজে সহযোগিতা করছে। পুরো এলাকা ডুবো ধানকাটার হিড়িক পড়ে গেছে। চুনিয়াখালিপাড়া গ্রামের আয়নাল প্রামানিক, শহিদুল ইসলাম, নাহিদ প্রামানিক সহ একাধিক কৃষক জানান, প্রতিবছর সাধারণত জষ্ঠ্য মাসের শেষের দিকে নদীতে পানি বৃদ্ধি শুরু হয়। কিন্তু এ বছর চৈত্র মাসের শুরুতেই হাঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। ফলে আমাদের অর্ধেক বছরের খাদ্যের যোগান দেয়া এ বোরো ধান ডুবে যাওয়ায় আমরা দূঃশ্চিন্তিায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে শাহজাদপুর উপজেলার প্রায় ২০০ বিঘা বোরো ধান ডুবে গেছে। এর মধ্যে ১১৫ বিঘা জমির ধান সম্পূর্ণ ও ৭৫ মিঘা জমির ধান আংশিক ডুবে গেছে। এতে কৃষকদের বেশ ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদী তীরবর্তী প্রায় সাড়ে ৭০০ বিঘা নিচু জমির বোরো ধান ডুবে গেছে। সদর, কাজিপুর, ও চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চলের নিচু জমির কাঁচা ও আধাপাকা ধান ডুবে যাওয়ায় কৃষকরা বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কিছুটা পুশিয়ে নিতে তারা কাঁচা অথবা আধাকাচা ধান কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছে। অপরদিকে সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর ও চৌহালি উপজেলার যমুনা নদী তীরবরতী সাড়ে ৫০০ বিঘা জমির ধান ডুবে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল লতিফ জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে গত ১০/১২দিন হল যমুনা ও এর শাখা নদী গুলোতে পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আ জ ম আহসান শহিদ সরকার জানান, হঠাৎ যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার নদী বেষ্টিত চার উপজেলার প্রায় সাড়ে ৭০০ বিঘা কালো বোরো ধান ডুবে গেছে। এতে কৃষকদের বেশ ক্ষতি হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিরূপণ করা যায়নি।
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

যমুনাসহ ৪ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, ডুবে গেছে সাড়ে ৭০০ বিঘা জমির বোরো ধান 

আপডেট সময় ১০:১১:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
মোঃ আখতার হোসেন হিরন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : 
যমুনা, করতোয়া, বড়াল ও হুড়াসাগর নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী আরও ২০০ বিঘা নিচু জমির বোরো ধান ডুবে গেছে। ফলে উপজেলার কৈজুরি, সোনাতনী, গালা ও জালালপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের নিচু জমির কাঁচা ও আধাপাকা ধান সবচেয়ে বেশি ডুবে যাওয়ায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকে পানি থেকে কাঁচা ধান কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছে। অনেকে আবার আধাপাকা ধান মাড়াই করে কিছুটা চাউল বের করার চেষ্টা করছে। এছাড়া পানি বৃদ্ধির কারণে নদী তীরবর্তী তিল, ভূট্রা, বাদাম ও কাউনি ডুবে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে সানাতনী গ্রামের জিয়া উদ্দিন, নূর ইসলাম, বাদশাহ মিয়া, ইব্রাহিম হোসেন, ছোট চানতারা গ্রামের খোরশেদ আলম ও বানতিয়ার গ্রামের অয়জাল সরকার, হোসেন আলী ও আলম শেখ বলেন, হঠাৎ নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে আমাদের এ এলাকার অন্তত ১১৫ বিঘা জমির ধান ডুবে গেছে। এধান দিয়ে তারা বছরের অর্ধেক সময় খাদ্যর চাহিদা মিটিয়ে থাকে। এ ধান ডুবে যাওয়ায় তারা চরম দূঃশ্চিন্তায় পড়েছে। কাঁচা ধান কেটে তারা গরুকে খাওয়াচ্ছে। কৃষকের এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তারা সরকারের সাহায্য সহযোগিতা কামনা করেছে।
এদিকে বুধবার দুপুরে চুনিয়াখালিপাড়া ও থানার ঘাট ব্রীজের নিচের নিচু জমি ঘুরে দেখা যায়, কামলার অভাবে কৃষকরা বাড়ির ঝি বৌ ও শিশু সন্তানদের দিয়ে ধানকাটা, মাথায় করে বহণ ও মাড়াই কাজে সহযোগিতা করছে। পুরো এলাকা ডুবো ধানকাটার হিড়িক পড়ে গেছে। চুনিয়াখালিপাড়া গ্রামের আয়নাল প্রামানিক, শহিদুল ইসলাম, নাহিদ প্রামানিক সহ একাধিক কৃষক জানান, প্রতিবছর সাধারণত জষ্ঠ্য মাসের শেষের দিকে নদীতে পানি বৃদ্ধি শুরু হয়। কিন্তু এ বছর চৈত্র মাসের শুরুতেই হাঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। ফলে আমাদের অর্ধেক বছরের খাদ্যের যোগান দেয়া এ বোরো ধান ডুবে যাওয়ায় আমরা দূঃশ্চিন্তিায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে শাহজাদপুর উপজেলার প্রায় ২০০ বিঘা বোরো ধান ডুবে গেছে। এর মধ্যে ১১৫ বিঘা জমির ধান সম্পূর্ণ ও ৭৫ মিঘা জমির ধান আংশিক ডুবে গেছে। এতে কৃষকদের বেশ ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদী তীরবর্তী প্রায় সাড়ে ৭০০ বিঘা নিচু জমির বোরো ধান ডুবে গেছে। সদর, কাজিপুর, ও চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চলের নিচু জমির কাঁচা ও আধাপাকা ধান ডুবে যাওয়ায় কৃষকরা বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কিছুটা পুশিয়ে নিতে তারা কাঁচা অথবা আধাকাচা ধান কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছে। অপরদিকে সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর ও চৌহালি উপজেলার যমুনা নদী তীরবরতী সাড়ে ৫০০ বিঘা জমির ধান ডুবে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল লতিফ জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে গত ১০/১২দিন হল যমুনা ও এর শাখা নদী গুলোতে পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আ জ ম আহসান শহিদ সরকার জানান, হঠাৎ যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার নদী বেষ্টিত চার উপজেলার প্রায় সাড়ে ৭০০ বিঘা কালো বোরো ধান ডুবে গেছে। এতে কৃষকদের বেশ ক্ষতি হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিরূপণ করা যায়নি।