
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ শারমিন আক্তার,
স্বৈরাচারী, একনায়কতন্ত্র ও অর্থ কেলেঙ্কারি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (বশেমুরবিপ্রবিসাস) কার্যালয়ে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক সমিতির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এর আগে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও আমাদের নতুন সময় পত্রিকার প্রতিনিধি মাইনুদ্দীন পরান নিজ সংগঠনের আরেক সাংবাদিক সাগর দে’কে মেরে কার্যালয় থেকে বের করে দেয়। এতে সাগর দে আহত হয়। এ ঘটনায় বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮.৩০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অবস্থিত বশেমুরবিপ্রবিসাসের নিজ কার্যালয়ে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে প্রক্টর অফিসে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রক্টর অফিসে আলোচনা চলাকালীন সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের হাতাহাতি হয়।এ ঘটনায় বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কে এম ইয়ামিনুল হাসান আলিফ পেশাদারিত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহের সময় বশেমুরবিপ্রবিসাসের জিনিয়া-পরান প্যানেলের সদস্যদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়। এতে আলিফও গুরুতর আহত হয়।
বশেমুরবিপ্রবিসাসের এমতাবস্থায় কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা করে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন উপদেষ্টা মোঃ রেজোয়ান হোসেন। এসময় তিনি জিনিয়া-পরান কমিটি স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়ে বলেন, জিনিয়া-পরান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল এবং উপদেষ্টাদের সাথে অসদাচরণসহ একাধিক কারণে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।
জিনিয়া-পরান ক্ষমতায় আসার পর থেকে সাংবাদিক সমিতির একক নিয়ন্ত্রণ হাতে নিতে বিভিন্ন কৌশলে সংগঠনের সিনিয়রদের মাইনাস করার খেলায় মেতে ওঠে।
এছাড়াও অর্থ কেলেঙ্কারির বিষয়ে তিনি বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশের জন্য ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে একটি ভাল অঙ্কের টাকা পায় সাংবাদিক সমিতি। এছাড়াও সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে একটি বাৎসরিক বাজেট পাস করার জন্য এই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কয়েকবার সাক্ষাৎ করেছে। তবে সাক্ষাতের ফলাফল কি, টাকা আদৌ পাওয়া গেছে কিনা, পাওয়া গেলেও কত টাকা পাওয়া গেছে সে সম্পর্কে উপদেষ্টারা বা সমিতির অন্যান্য সদস্যরা অবগত নয়। সর্বশেষ, সাংবাদিক সমিতির একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জিনিয়া-পরান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য কার্যনির্বাহী মিটিং ডেকে তাদের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়ার মতো গঠনতন্ত্র বিরোধী ও স্বৈরাচারী নজির স্থাপন করে।
এর আগে নিউজ সংক্রান্ত বিষয়ে সংগঠনটির সিনিয়র সদস্য শফিউল কায়েসকে হেনস্তা করে জিনিয়া-পরান কমিটি, এমন অভিযোগও তোলা হয় কমিটি বিলুপ্তির প্রেস রিলিজে।