বাংলাদেশ ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

চতুর্থ দিনেও বকেয়া বেতন ও কাজে যোগদানের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভিতরে ও বাইরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসুচি পালন॥

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৫১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২
  • ১৭০২ বার পড়া হয়েছে

চতুর্থ দিনেও বকেয়া বেতন ও কাজে যোগদানের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভিতরে ও বাইরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসুচি পালন॥

 

 

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি:

বকেয়া বেতন ও কাজে যোগদানের দাবিতে চতুর্থ দিনের মত অবস্থান কর্মসুচি পালন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভিতরের ও বাইরের দেশি শ্রমিকরা। আজ শনিবার খনির কয়লা সরবারাহ গেটের ভিতরে ও বাইয়ে অবস্থান কর্মসুচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেন শ্রমিকরা। পুর্বঘোষিত কর্মসুচি অনুযায়ী গত ২৪ এপ্রিল বুধবার বেলা ১২টা থেকে খনির মূল ফটকে পরিবারসহ তারা এই বিক্ষোভ ও অবস্থান শুরু করেন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল রোববার তারা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর দুই দফা দাবী নিয়ে একটি স্মালকলিপি দিয়ে দাবি মেনে নিতে বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শ্রমিকরা, দাবী না মানায় এই অবস্থান কর্মসুচি করছেন বলে জানিয়েছেন তারা। এসময় ভিতরের শ্রমিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক আমিন হোসেন, সেরাজুল ইসলাম, জাকির হোসেন।

 

 

 

অপরদিকে বক্তব্য রাখেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম,শ্রমিক নেতা মো.সাইফুল ইসলাম,ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। এদিকে আন্দোলন চলাকালে খনির ভিতরে কাজ করা শ্রমিকদের সাথে দেখা করতে কয়লা সরবারাহ গেটে আসেন শ্রমিকদের স্ত্রী ও সন্তানরা। দেখা করতে আসা নাসরিন আক্তার, শিরিনা, শায়লা আক্তার নামে কয়েকজন শ্রমিকের স্ত্রী জানান,সামনে ঈদ আমাদের স্বামীদের ভিতরে কাজ করছেন, তাদের বাহিরে বের হতে দিচ্ছেন না। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসুচি চলবে।” রবিউল ইসলাম জানান,চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে খনিতে মোট এক হাজার ১৪৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছিলেন। দুই বছর আগে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে কর্মরত এক হাজার ১৪৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারীতে ৪০০ জন শ্রমিককে কাজ করার শর্তে ফেরত নেয়।

 

 

 

বাকি ৭৪৭ জনকে কাজে যোগদানের সুযোগ না দিয়ে বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। সামনে ঈদ ভেতরের শ্রমিকরদের খনির বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, ছুটি দেওয়ার সময় প্রতি মাসে শ্রমিকদের সাড়ে চার হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। ওই টাকা দেওয়াও শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত আট মাস ধরে তা আর দেওয়া হচ্ছে না। তবে কর্মরত শ্রমিকদের নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে। এবিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান খান বলেন,ঈদ উপলক্ষে ইতমধ্যে বাহিরের ৮৫০জন শ্রমিকদের জনপ্রতি ৫হাজার টাকা করে মোট ৫৫লক্ষ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। বর্তমানে খনির একটি ফেস চালু রয়েছে যা শেষের পথে। তাই জনবল কম লাগছে, সেই সাথে থাকার জায়গাও কম।

 

 

 

আরো একটি ফেস চালু করার প্রস্তুতি চলছে,যা মাস দুইয়েক সময় লাগবে। ওই ফেসটি চালু হলেই বাহিরের শ্রমিকদের পর্যায় ক্রমে কাজে নেয়া হবে। ভেতরের শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খনির বাহিরে বের হয়ে তারা বাড়ী থেকে কাজ করতে চায়।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

চতুর্থ দিনেও বকেয়া বেতন ও কাজে যোগদানের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভিতরে ও বাইরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসুচি পালন॥

আপডেট সময় ০৬:৫১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২

 

 

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি:

বকেয়া বেতন ও কাজে যোগদানের দাবিতে চতুর্থ দিনের মত অবস্থান কর্মসুচি পালন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভিতরের ও বাইরের দেশি শ্রমিকরা। আজ শনিবার খনির কয়লা সরবারাহ গেটের ভিতরে ও বাইয়ে অবস্থান কর্মসুচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেন শ্রমিকরা। পুর্বঘোষিত কর্মসুচি অনুযায়ী গত ২৪ এপ্রিল বুধবার বেলা ১২টা থেকে খনির মূল ফটকে পরিবারসহ তারা এই বিক্ষোভ ও অবস্থান শুরু করেন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল রোববার তারা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর দুই দফা দাবী নিয়ে একটি স্মালকলিপি দিয়ে দাবি মেনে নিতে বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শ্রমিকরা, দাবী না মানায় এই অবস্থান কর্মসুচি করছেন বলে জানিয়েছেন তারা। এসময় ভিতরের শ্রমিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক আমিন হোসেন, সেরাজুল ইসলাম, জাকির হোসেন।

 

 

 

অপরদিকে বক্তব্য রাখেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম,শ্রমিক নেতা মো.সাইফুল ইসলাম,ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। এদিকে আন্দোলন চলাকালে খনির ভিতরে কাজ করা শ্রমিকদের সাথে দেখা করতে কয়লা সরবারাহ গেটে আসেন শ্রমিকদের স্ত্রী ও সন্তানরা। দেখা করতে আসা নাসরিন আক্তার, শিরিনা, শায়লা আক্তার নামে কয়েকজন শ্রমিকের স্ত্রী জানান,সামনে ঈদ আমাদের স্বামীদের ভিতরে কাজ করছেন, তাদের বাহিরে বের হতে দিচ্ছেন না। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসুচি চলবে।” রবিউল ইসলাম জানান,চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে খনিতে মোট এক হাজার ১৪৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছিলেন। দুই বছর আগে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে কর্মরত এক হাজার ১৪৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারীতে ৪০০ জন শ্রমিককে কাজ করার শর্তে ফেরত নেয়।

 

 

 

বাকি ৭৪৭ জনকে কাজে যোগদানের সুযোগ না দিয়ে বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। সামনে ঈদ ভেতরের শ্রমিকরদের খনির বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, ছুটি দেওয়ার সময় প্রতি মাসে শ্রমিকদের সাড়ে চার হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। ওই টাকা দেওয়াও শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত আট মাস ধরে তা আর দেওয়া হচ্ছে না। তবে কর্মরত শ্রমিকদের নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে। এবিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান খান বলেন,ঈদ উপলক্ষে ইতমধ্যে বাহিরের ৮৫০জন শ্রমিকদের জনপ্রতি ৫হাজার টাকা করে মোট ৫৫লক্ষ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। বর্তমানে খনির একটি ফেস চালু রয়েছে যা শেষের পথে। তাই জনবল কম লাগছে, সেই সাথে থাকার জায়গাও কম।

 

 

 

আরো একটি ফেস চালু করার প্রস্তুতি চলছে,যা মাস দুইয়েক সময় লাগবে। ওই ফেসটি চালু হলেই বাহিরের শ্রমিকদের পর্যায় ক্রমে কাজে নেয়া হবে। ভেতরের শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খনির বাহিরে বের হয়ে তারা বাড়ী থেকে কাজ করতে চায়।