
শাহিনুর আক্তার বেলাব (নরসিংদী) প্রতিনিধি :-
বেলাব উপজেলার ধুকুন্দি ক্যাডেট কোর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাস বর্জন করেছেন, এবং ১০ মে মঙ্গলবার মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা। সকাল ১২ টা হতে দুপুর ১ টা পর্যন্ত এ মানববন্ধন চলে। জানা যায়,গতকাল সোমবার বিগত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ মকবুল হোসেন বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ক্লাসে ঢুকে সহকারী মৌলভী শিক্ষক ওমর ফারুক কে লাঞ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে শিক্ষক ওমর ফারুক বেলাব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গতক্লাল ক্লাস চলাকালিন সময় মকুবল হোসেন ক্লাসে ঢুকে অহেতুক উক্ত শিক্ষক কে গালাগালি করে এবং শ্রেণী হাজিরা সীট ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে মারপিট করার চেষ্ঠা করে। ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী সাগরিকা বলেন, ক্লাসে আমাদের সামনে স্যারকে অপমান করেছে।
আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই। সহকারী শিক্ষক তামান্না তারিন জানান, বহিরাগতরা আমাদের ক্লাসে এসে শিক্ষক দের অপমান করবে। এটা আমরা মেনে নিবোনা। যতক্ষণ পর্যন্ত সুষ্ঠ বিচার না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ক্লাস বর্জন অব্যাহত রাখব। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বলেন, এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য সবার সচেতন হতে হবে। সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদের এই কর্মসূচী। অভিযুক্ত মকবুল হাসান বলেন, যেহেতু সব ক্লাসেই হাজিরা খাতা উপস্থিতি নেয়া হচ্ছে সেজায়গায় ৭ম শ্রেণীতে উক্ত শিক্ষক সাদা কাগজে হাজিরা নিচ্ছে।
এসময় তাকে আমি বললাম আপনি সাদা কাগজে কেন হাজিরা নিচ্ছেন। এটা থেকেই একটু কথা কাটাকাটি হয়েছি। এছাড়াও ৭ম শ্রেণীর রিয়াজুল ইসলাম নাদিম নামে এক শিক্ষর্থী অত্র স্কুলে উপস্থিত না হয়েও হাজিরা খাতায় উপস্থিত দেখানো নিয়ে তার সাথে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে তার সাথে আমার লাঞ্চিত করা ও গালাগালির ঘটনা ঘটেনি। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ভাস্কর অলি মাহমুদ বলেন,বিষয়টি আমি শুনেছি।
যদি এরকম কিছু হয়ে থাকে তাহলে এটা দুঃখ জনক। আমি বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক প্রতিনিধি ও এলাকাবাসি নিয়ে বসে বিষয়টি নিয়ে বসব। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মতিউর রহমান বলেন, গতকালকে এ ঘটনা শুনে আমরা অভিযুক্ত মকবুল হোসেনকে ডেকেছি। সে আমাদের সাথে ভুল স্বীকার করেছে। ভবিষৎতে এরকম কাজ আর করবেনা বলে কথা দিয়েছে।