
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: নদী ও প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক সংগঠন নোঙর এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৩ মে জাতীয় নৌ-নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন পালিত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে নোঙর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা আয়োজনে এ কর্মসূচির পালন করা হয়।
এতে নোঙর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে ও সোহেল আহাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, সাহিত্য একাডেমির পরিচালক ম-লীর সদস্য ফারুক আহমেদ ভুইয়া ও নির্বাহী সদস্য জামিনুর রহমান, জেলা খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট অঞ্চল) মনির হোসেন, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, জেলা বাসদের আহবায়ক প্রবীর চৌধুরী রিপন, জেলা যুবমৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, জেলা ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আবু কালাম নাঈম, গীতিকার গাজী তানভীর আহমেদ, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারী পরিচালক মো. সুজন সরকার, জেলা মৎসজীবী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান সরদার ও সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, নোঙর সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম।
এসময় তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সাহিত্য সম্পাদক রেজা এ রাব্বি, নোঙর অর্থ ও আইসিটি সম্পাদক শিপন কর্মকার, নোঙর সদস্য আজিজুর রহমান, সোহেল খান, সাইদুর রহমান জুয়েল, রয়েল মিয়া, শিরিন আক্তার, মোর্শেদ, ফোরকান, আসলামসহ জেলার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিবছরই বর্ষা এলে নৌ-নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় আসে। প্রতিটি নৌ-দূর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন ও বিভিন্ন দপ্তরের দৌড়-ঝাঁপ দেখা গেলেও এর কার্যক্রমের কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। জেলার কোনো নৌঘাটেই যাত্রী নিরাপত্তায় লাইফ জ্যাকেট ও বয়াসহ কোনো ধরনের নিরাপত্তা সামগ্রী ব্যবহার করতে দেখা যায় না। এমনকি অতিরিক্ত যাত্রী বহনেও কর্তৃপক্ষের তদারকি নেই। মানববন্ধনে বক্তারা, দেশে নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ২৩ মে জাতীয় নৌ-নিরাপত্তা দিবস হিসেবে ঘোষণার করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সনের ২৩ মে মাদারীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ত্রুটিযুক্ত ও চলাচল অনুপযোগী লঞ্চ “এমভি লাইটিং সান” ও “এমভি দিগন্ত” মেঘনা নদীতে গভীর রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। সেই ভয়াবহ নৌ- দূর্ঘটনায় প্রায় দুই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান।
এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এবং সারা দেশব্যাপী নৌ-নিরাপত্তার বিষয়টিকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সকলের নিকট তুলে ধরে গণসচেতনতার লক্ষ্যে ‘নোঙর বাংলাদেশ’ দীর্ঘ সময় ধরে ২৩ মে তারিখকে জাতীয় নৌ-নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।