বাংলাদেশ ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

বাঘায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, থানায় অভিযোগ 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৫০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মে ২০২২
  • ১৭২৪ বার পড়া হয়েছে

বাঘায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, থানায় অভিযোগ 

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় আক্তার রহমান সাংবাদিক পরিচয়ে আব্দুল কুদ্দুস সরকার নামের এক ঠিকাদারের কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার বাদী হয়ে শুক্রবার (২৭ মে) রাতে ও-ই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আক্তার রহমান নামের একটা ব্যাক্তি বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট ঠিকাদার আব্দুল কুদ্দুস সরকার এর কাছে ঠিকাদারি কাজে নানান অনিয়মের কথা বলে ২৬ মে দুপুর আনুমানিক দুইটার সময় পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবীকৃত টাকা না দিলে সংবাদ প্রকাশ করে আব্দুল কুদ্দুস সরকার এর মানহানি করবে বলে হুমকিও দেয় ওই সাংবাদিক। অভিযোগে ঠিকাদার আরও উল্লেখ করেন, অতীতেও এই চাঁদাবাজ ও হলুদ সাংবাদিক ঠিকাদার সহ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দাবির সময় উত্তর মিলিক বাঘা গ্রামের কুদ্দুস সরকারের ছেলে সেলিম ও আজিজের ছেলে কামরুল উপস্থিত ছিল।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আব্দুল কুদ্দুস সরকার গত ২২ বছর যাবৎ বাঘা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন  করছেন। এছাড়াও একটানা ১৪ বছর প্যানেল মেয়র ও পরে পর ২ বার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছিলেন আওয়ামীলীগের এই নেতা।
কুদ্দুস সরকার একাধারে একজন ব্যাবসায়ী ও সমাজ সেবক তিনি আহমোদপুরে আঃ কুদ্দুস সরকার এতিম খানা ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসার নামে ১০ কাঠা জমি ওয়ার্ফ করেন তিনি। অযুখানাসহ মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করেন নিজ অর্থায়নে।
বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার বলেন, আমি ঠিকাদারি ব্যবসা করি। আমার একটি সাইডে রাস্তা প্রসস্তের কাজ চলছে। যা আমি সিডিউল অনুসারে করছি। হঠাৎ আক্তার রহমান সেখানে গিয়ে ছবি তোলা সহ আমার কাজে নিয়জিত শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরণ করে। আমি বিষয়টি যানার পর তার সাথে ফোনে কথা বলি। সে সরাসরি দেখা করে বিস্তারিত কথা বলতে চাই। দুপুর আনুমানিক আড়াই টার দিকে সে আমার সাথে দেখা করতে আমার পুরাতন বাড়ির কাছে আসে এবং কাজের বিভিন্ন ভুল ত্রুটির কথা উল্লেখ করে বলে অনেক বড় কাজ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে তাকে। কি কারণে টাকা দিতে হবে জানতে চাইলে আক্তার বলে, আমি নিউজ করলে মানহানিতো হবেই সেই সাথে কাজেও অনেক ঝামেলা হবে। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়াতে সে খিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করে। আমি এ-ই মানহানীকর মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। আমরা ব্যবসায়ীরা এমন হলুদ সাংবাদিক এর বিচার চাই।
তিনি আরো বলেন, পুঁজি খাটিয়ে বৈধ উপায়ে ব্যবসা করেও চাঁদা দিতে হবে  তাদের। বাঘা মেডিকেলের ঠিকাদারের থেকেও চাঁদা নিয়েছে এমন একটি অডিও শুনেছিলাম ফেসবুকে। কোথাও কোন ঘটনা না জেনে না বুঝে ক্যামেরা বের করে ছবি তুলে পরে চাঁদা দাবি করে এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এই আক্তার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগও রয়েছে। একজন শিক্ষিত মানুষ যে এতো খারাপ হতে পারে তাকে না দেখলে বুঝায় যায়না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আক্তার রহমানের ক্যামেরাম্যান প্রিন্স একজন মাদকসেবি। সে সাংবাদিক পরিচয় ধারণ করে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাদক নিয়ে সেবন করে (কিছুদিন আগে ইয়াবা সেবনের ভিডিও রয়েছে সংরক্ষণে)। ইমু ও হ্যাকারদের কাছে মাসোহারা হিসেবে নগদ টাকা গ্রহনের তথ্য যায়। যারা টাকা দিতে চাইনা তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করার হুমকিও দেয়।
এ বিষয়ে জানতে একাধিক বার আক্তার রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে তা বার বার বন্ধ পাওয়া যায়। 
বাঘা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, বাঘা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতির ও একজন ঠিকাদার আঃ কুদ্দুস সরকারের নিকট রাস্তার কাজের অনিয়মের ভয়-ভিতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করাকে অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে। সে যেই হোক চাঁদাবাজীদের কোন স্থান নেই বাঘা উপজেলাতে।
এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

বাঘায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, থানায় অভিযোগ 

আপডেট সময় ০৭:৫০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মে ২০২২
রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় আক্তার রহমান সাংবাদিক পরিচয়ে আব্দুল কুদ্দুস সরকার নামের এক ঠিকাদারের কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার বাদী হয়ে শুক্রবার (২৭ মে) রাতে ও-ই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আক্তার রহমান নামের একটা ব্যাক্তি বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট ঠিকাদার আব্দুল কুদ্দুস সরকার এর কাছে ঠিকাদারি কাজে নানান অনিয়মের কথা বলে ২৬ মে দুপুর আনুমানিক দুইটার সময় পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবীকৃত টাকা না দিলে সংবাদ প্রকাশ করে আব্দুল কুদ্দুস সরকার এর মানহানি করবে বলে হুমকিও দেয় ওই সাংবাদিক। অভিযোগে ঠিকাদার আরও উল্লেখ করেন, অতীতেও এই চাঁদাবাজ ও হলুদ সাংবাদিক ঠিকাদার সহ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দাবির সময় উত্তর মিলিক বাঘা গ্রামের কুদ্দুস সরকারের ছেলে সেলিম ও আজিজের ছেলে কামরুল উপস্থিত ছিল।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আব্দুল কুদ্দুস সরকার গত ২২ বছর যাবৎ বাঘা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন  করছেন। এছাড়াও একটানা ১৪ বছর প্যানেল মেয়র ও পরে পর ২ বার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছিলেন আওয়ামীলীগের এই নেতা।
কুদ্দুস সরকার একাধারে একজন ব্যাবসায়ী ও সমাজ সেবক তিনি আহমোদপুরে আঃ কুদ্দুস সরকার এতিম খানা ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসার নামে ১০ কাঠা জমি ওয়ার্ফ করেন তিনি। অযুখানাসহ মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করেন নিজ অর্থায়নে।
বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার বলেন, আমি ঠিকাদারি ব্যবসা করি। আমার একটি সাইডে রাস্তা প্রসস্তের কাজ চলছে। যা আমি সিডিউল অনুসারে করছি। হঠাৎ আক্তার রহমান সেখানে গিয়ে ছবি তোলা সহ আমার কাজে নিয়জিত শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরণ করে। আমি বিষয়টি যানার পর তার সাথে ফোনে কথা বলি। সে সরাসরি দেখা করে বিস্তারিত কথা বলতে চাই। দুপুর আনুমানিক আড়াই টার দিকে সে আমার সাথে দেখা করতে আমার পুরাতন বাড়ির কাছে আসে এবং কাজের বিভিন্ন ভুল ত্রুটির কথা উল্লেখ করে বলে অনেক বড় কাজ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে তাকে। কি কারণে টাকা দিতে হবে জানতে চাইলে আক্তার বলে, আমি নিউজ করলে মানহানিতো হবেই সেই সাথে কাজেও অনেক ঝামেলা হবে। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়াতে সে খিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করে। আমি এ-ই মানহানীকর মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। আমরা ব্যবসায়ীরা এমন হলুদ সাংবাদিক এর বিচার চাই।
তিনি আরো বলেন, পুঁজি খাটিয়ে বৈধ উপায়ে ব্যবসা করেও চাঁদা দিতে হবে  তাদের। বাঘা মেডিকেলের ঠিকাদারের থেকেও চাঁদা নিয়েছে এমন একটি অডিও শুনেছিলাম ফেসবুকে। কোথাও কোন ঘটনা না জেনে না বুঝে ক্যামেরা বের করে ছবি তুলে পরে চাঁদা দাবি করে এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এই আক্তার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগও রয়েছে। একজন শিক্ষিত মানুষ যে এতো খারাপ হতে পারে তাকে না দেখলে বুঝায় যায়না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আক্তার রহমানের ক্যামেরাম্যান প্রিন্স একজন মাদকসেবি। সে সাংবাদিক পরিচয় ধারণ করে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাদক নিয়ে সেবন করে (কিছুদিন আগে ইয়াবা সেবনের ভিডিও রয়েছে সংরক্ষণে)। ইমু ও হ্যাকারদের কাছে মাসোহারা হিসেবে নগদ টাকা গ্রহনের তথ্য যায়। যারা টাকা দিতে চাইনা তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করার হুমকিও দেয়।
এ বিষয়ে জানতে একাধিক বার আক্তার রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে তা বার বার বন্ধ পাওয়া যায়। 
বাঘা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, বাঘা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতির ও একজন ঠিকাদার আঃ কুদ্দুস সরকারের নিকট রাস্তার কাজের অনিয়মের ভয়-ভিতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করাকে অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে। সে যেই হোক চাঁদাবাজীদের কোন স্থান নেই বাঘা উপজেলাতে।
এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।