
রাহাদ সুমন, বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনি
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মৃধা জানান, ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন তার এবং সচিবের সিল বানিয়ে বহু আগে থেকেই তাদের স্বাক্ষর নিজে দিয়ে সাধারণ মানুষকে জন্মনিবন্ধনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে আসছে।
অনুসন্ধান করলে মামুনের এধরণের ঘৃণ্য কর্মকান্ডের আরও অনেক প্রমান পাওয়া যাবে বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি। সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মামুন অর্থের বিনিময়ে তাদেরও সিল বানিয়ে নিজে স্বাক্ষর দিয়ে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরী করে দিয়েছে। তারা সমস্ত বিষয়গুলো অধিকতর তদন্ত করারও দাবী জানান।
এদিকে ৩১ জুলাই রবিবার সকালে উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মসজিদবাড়ী গ্রাামের সাবিনা নামের এক নারী ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিকত্ব সনদ নিতে গেলে তার জন্মনিবন্ধনে সিল ও স্বাক্ষর দেখে সেখানে উপস্থিত কয়েকজন ইউপি সদস্যের সন্দেহ হয়। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার কাছ থেকে ৩ শত টাকা নিয়ে মামুন ও স্থানীয় প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক সাখাওয়াত গত ৫ জুন জন্মনিবন্ধন দেয় তাকে।
২ আগস্ট সকালে সৈয়দকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধা বিষয়টি ইউএনও রিপন কুমার সাহা ও থানার ওসি এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী অবহিত করলে খবর পেয়ে পুলিশ তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আটক করে বানারীপাড়া থানায় নিয়ে আসেন।
ওইদিন রাতে উদ্যোক্তা আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন ও শিক্ষক সাখওয়াত হোসেনকে আসামী করে সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মৃধা বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৩ আগস্ট সকালে তাদেরকে বরিশাল জেলহাজতে পাঠানো হয়। কয়েকদিন হাজতবাস করার পরে তারা জামিনে বের হন।