
র্যাব-৬ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় অস্বাস্থ্যকর চিংড়ি বাজারজাত করায় ৩ ব্যবসায়ীকে ০১ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং ৫০০ কেজি চিংড়ি জব্দ পূর্বক ধ্বংস করা হয়েছে।
র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ আগস্ট ২০২২ তারিখ র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশের মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি করে অস্বাস্থ্যকর ভাবে বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে ০১টি চিংড়ি মাছ ভর্তি ট্রাক শ্যামনগর হতে ঢাকায় যাচ্ছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে একই তারিখ রাত ১৯.৩০ হতে রাত ২৩.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এবং যশোর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য পরিদর্শক ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন লাউজানি বাজার বেনাপোল টু যশোর হাইওয়ে রাস্তার উপর অস্থায়ী চেকপোষ্ট বসিয়ে চিংড়ি মাছ ভর্তি ০১টি ট্রাক থামিয়ে চেক করেন।
এ সময় ট্রাক হতে ৩৩টি ককশিট ভর্তি চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশ করা প্রমাণ পাওয়ায় মৎস্য ও মৎস্য পণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) বিধি মালা ১৯৯৭ (সংশোধিত বিধিমালা ২০০৮) এর বিধি ৪(৪) লংঘন করায় চিংড়ি মাছের মালিক ১। পলাশ (৪০), সত্ত্বাধীকারী মনি ফিস, থানা-দেবহাটা, জেলা-সাতক্ষীরকে ১০,০০০/-টাকা, ২।রোকন (৩০), সত্ত্বাধীকারী বন্ধু ফিস, থানা-শ্যামনগর, জেলা-সাতক্ষীরাকে ৬০,০০০/-টাকা, ৩। হাসান (৩৫), সত্ত্বাধীকারী সালাম ফিস, থানা-দেবহাটা, জেলা-সাতক্ষীরাকে ৩০,০০০/-টাকাসহ সর্বমোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা অর্থদন্ড করা হয়। উক্ত ৩৩টি ককশিটে থাকা অপদ্রব্য পুশ করা আনুমানিক ৫০০ কেজি চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত ৫০০ কেজি অপদ্রব্য পুশ করা চিংড়ি মাছ মৎস্য কর্মকর্তার সম্মুখে ধ্বংস করা হয়েছে এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানাকৃত টাকা চালান মোতাবেক সরকারী কোষাগারে জমা করা হয়েছে।