
গাজী এনামুল হক (লিটন)
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় পিরোজপুর পৌর মেয়রের বক্তব্য কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।বিশেষ করে বার্তা বাজার নামে অনলাইন নিউজ পোর্টালটির মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি থাকা স্বত্বেও তার সাথে আদৌ কোন যোগাযোগ না করেই ভিডিওটি প্রকাশ করেছে।এ ঘটনায় ওই প্রতিনিধি ১৯ সেপ্টেম্বর মঠবাড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
সংবাদ প্রকাশের নীতিমালা উপেক্ষা করে পিরোজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজের সমর্থক সহ জামায়াত বিএনপির লোকেরা ভিডিওটি গ্রহন করেছে। বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকেরা শত শত শেয়ার করে ভিডিওটি ভাইরাল করেছে।দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বার্তা বাজারকে ব্যবহার করা হয়েছে।
অন্যদিকে ভিডিওটি দেখে পিরোজপুর জনপদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনগোষ্ঠীর একটি বৃহৎ অংশ বার্তা বাজার নিউজ পোর্টালের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে। বার্তা বাজারের বর্তমান মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি পোর্টালটিতে আজ থেকে কোন সংবাদ পাঠাবেন না বলেও নিশ্চিত করেছেন।
১৮ সেপ্টেম্বর মঠবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে দলীয় বর্ধিত সভায় পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি একেএম আউয়াল সহ ছাত্রলীগের একাধিক সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এবং জেলা – উপজেলার নেতারা বক্তব্য রাখেন।সেসব বক্তব্যের আদৌ কোন অংশ ভিডিওতে প্রকাশ করা হয়নি।
একজন বক্তার বক্তব্য আংশিক প্রকাশ করায় বিদ্রোহী প্রার্থী খুশী হয়েছে এবং তার সমর্থকরা শেয়ার দিয়েছে। এতে সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এবং সাধারণ মানুষেরা ভিডিওটিকে একপক্ষ বলে মন্তব্য করেছেন। মুখরোচক শিরোনাম দেওয়ায় ভিডিওটি ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।
বার্তা বাজারের মঠবাড়িয়া প্রতিনিধির অভিযোগ, ভিডিওটি বার্তা বাজারের নিউজ রুমে কে বা কারা পাঠিয়েছে অথবা নিউজরুম সংবাদ প্রকাশের নীতিমালা অনুসরন করে প্রকাশ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত। বর্ধিত সভায় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্য একজন বক্তার অভিমান করা বক্তব্য মুখরোচক শিরোনাম দিয়ে প্রকাশ করায় সাধারণ মানুষের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বার্তা বাজার নিউজ রুমে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে জানানো হয়, ভিডিওটি কোন প্রতিনিধি পাঠায়নি।বার্তা বাজার নিউজ ডেস্ক ভিডিওটি প্রকাশ করেছে।কোন্ সংবাদ প্রকাশ হবে আর কোনটা হবে না তা আমাদের ব্যাপার।সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ নূরুল ইসলাম বাদল জানান, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।