
নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর, ১৩.নভেম্বর :
পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানীতে শুটকি উৎপাদন শুরু হয়েছে। এ উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য বন্দর সংলগ্ন কচা নদীর পাশের চরে উৎপাদিত হচ্ছে বিষমুক্ত শুটকি। স্থানীয়ভাবে তৈরী করা এ শুটকিতে বিষ বা রাসায়নিক পাউডার দেয়া হয় না বলেই এ শুটকির সুনাম এবং চাহিদা ক্রেতাদের কাছে অনেক বেশি।
শীত মৌসুম আসতে না আসতেই পাড়েরহাটে শুটকি উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে। মৎস্য বন্দর থেকে সংগৃহীত বাছাই করা মাছ থেকেই এখানে শুটকি তৈরী করা হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত চলবে শুটকি উৎপাদনের কাজ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডেলা, পাইসা, ছুরি, লইট্যা ও ডুম্বুরা মাছের শুটকি প্রক্রীয়ার কাজ চলছে।
অন্যান্য শুটকি পল্লীতে মাছের খাদ্য তৈরীর শুটকি উৎপাদিত হলেও পাড়েরহাটে শুধুমাত্র মানুষের খাওয়ার শুটকী উৎপাদিত হয়। পাড়েরহাটের এলাকার বাসিন্দা আজগর আকন এক একর জমির উপর এ শুটকি পল্লী নির্মান করেছেন। ৫বছর ধরে তিনি এখানে শুটকী তৈরীর কাজ করছেন।
তার শুটকি পল্লীতে ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করেন। আজগর আকন জানান, শুটকি তৈরীতে তিনি বিষ বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করেন না। আড়ৎ থেকে মাছ কিনে এনে লবন পানিতে ১ দিন ভিজিয়ে রাখেন। এরপর বাশের তৈরী মাচা এবং বেড়ায় মাছ শুকাতে দেন।
৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কাচা মাছ শুটকিতে পরিনত হয়। তিনি বছরে প্রায় ১ হাজার মন শুটকী তৈরী করেন। তার উৎপাদিত শুটকি ঢাকা,চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন আড়তে পাইকারী বিক্রী হয়।
ইন্দুরকানী উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা তপন কুমার ব্যাপারী বলেন, শুটকি উৎপাদন তৈরীতে দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিকদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষন ও সহযোগীতা দেওয়া হয়। পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরে বিষ বা রাসায়নিক দ্রব্য ছাড়া শুটকী তৈরী করা হয়।