
রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম)-
মাদক ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য করে থাকেন বহুবিবাহ এবং তাদের থাকে কথিত স্ত্রী। থাকে এলাকা-ভিক্তিক ভিন্ন-ভিন্ন বাড়ি। আর তাদের এসব কাজে ব্যবহার হয় সমাজের বঞ্চিত ও নির্যাতিত নারীরা। নিপীড়িত এসব নারীদের টোপ হিসেবে ব্যবহার করে মাদক কারবারিরা। একটু সুখের আশায় কেউ কেউ দ্বিতীয়-তৃতীয় এমনকি একাধিক বিয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে হয়ে যান মাদক সম্রাগি।তেমনি ক্রেতা সমাগমে মিঠাপুকুরে রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসা মাদক সম্রাট শাহাবুলের ফেন্সিডিল ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন আজুবা নামে এক নারী। ১ম বউ থাকার পরও ৫ বছর আগে ২য় বিয়ে করেছেন একই ইউনিয়নের আবেদ আলীর মেয়ে আজুবা বেগমকে।গার্মেন্টস শ্রমিক থেকে দুই সন্তানের জননী আজুবার পরিচিতি এখন মাদক কারবারি। শাহাবুলের সাথে বিয়ের পর কিছুদিন ঠিকমতো সংসার চললেও বর্তমানে শুরু হয়েছে শাহাবুলের সঙ্গে পারিবারিক কলহ।
কিছুদিন থেকে আজুবাকে ছেড়ে দিতে প্রথম স্ত্রীর চাপ প্রয়োগ ও তার থেকে দূরে থাকতে বললেও তা করেননি শাহাবুল।ফলে বড় ছেলে আল-আমিন,স্ত্রী-সহ পারিবারিক সদস্যদের হাতে মারধরের শিকার হন শাহাবুলসহ আজুবা।
কিছুদিন আগেই হাফ-কেজি গাঁজা,১৮ পিচ ফেন্সিডিলের বোতল সহ আটক হন আজুবা বেগম। তিনি স্বীকার করেন,শাহাবুল,ছেলে আল-আমিন তাকে কৌশলে মাদক ব্যবসায় জড়িত করার জন্য তাকে গ্রেফতার করান,যাতে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন আজুবা। মায়ের মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার কারণে সংসার নষ্ট হতে চলছে আজুবার পূর্বের স্বামীর বিয়ে হওয়া দুই সন্তানের। নিজের মান সন্মান ও শাহাবুলের মারধরের কারনে গত- ১৭ ফেব্রুয়ারী,২০২২ বৃহঃস্পতিবার বিষপান করেন,আজুবা বেগম।পরে স্হানীয় চিকিৎসকের চেষ্টায় মরনের হাত থেকে বেঁচে ফেরা আজুবার।এখনো চলছে তারা চিকিৎসা।
মাদক ব্যবসায়ী হয়ে উঠা এবং একাধিক মাদক মামলার আসামি শাহাবুল, আলামিন, বিলকিসের মাদকের তথ্য উঠে আসে অসুস্থ আজুবার অভিযোগে।আজুবা আমার সংবাদকে জানান, আমার স্বামী, সতিন, তার ছেলে পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী।আমি ফেন্সিডিল বিক্রি করতে না,চাওয়ায় আল-আমিন, আমার সতিন সহ কয়েকজন মিলে ওদের বাসায় আমাকে মারছে,বিয়ের পর থেকে ওরা আমার বাসা আসে এভাবে মারধর করে,এবার ওদের বাসায় মারছে এবং ভয় দেখায় আমাকে পুলিশে দিবে আমি বাঁচতে যাই।মাদক ব্যবসা থেকে নিজেকে সরাতে চান।বাঁচতে চান স্বাভাবিক ভাবে।
এছাড়া আজুবা জানান, প্রতিনিয়ত রাত ১১/১২ টা থেকে ভোর বেলা ২০০-৭০০ পিস ফেন্সিডিল মাইক্রো যোগে নিয়ে আসছে আল আমিন, নাসির, স্বপন নামে কজন, উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে এসব মাদক।এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তির সহযোগিতার বিষয়টি তিনি তুলে ধরেন।
অভিযুক্ত শাহাবুল,আল-আমীন ও তার সতিন মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেন এবং তারা অভিযোগ করেন,আজুবা বাড়িতে নিজেই ফেন্সিডিল রাখে। তাদের বাড়ি থেকে বের হতেই চোখে পড়ে শতশত খালি বোতল। এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান,আমার সংবাদকে জানান,অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্হা নেবো। মাদক ব্যবসায়ীদের ছাড় নেই।