
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর)প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের বৃহত্তর মঠবাড়িয়া উপজেলায় মার্চ মাসের চার গুরুত্বপূর্ণ দিবস ৭ই মার্চ, ১৭ই মার্চ ২৫ ও ২৬ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে দীর্ঘ এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকাল ১১টায় উপজেলার শহীদ মাখন লাল দাস মিলনায়তনে এ প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং বিগত বছরের রেজুলেশন পাঠ করে শোনান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্মি ভৌমিক। পরে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, ১৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ও সুন্দরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়।
সভায় যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তারমধ্যে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপনের লক্ষ্যে তার অগের দিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকবে। এবং ৭ মার্চ সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ মাখন লাল দাস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের কর্মসূচির মধ্যে থাকবে সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন। সকাল দশটায় শহীদ মাখন লাল দাস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজন করা হবে চিত্রাঙ্কন,আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতা। থাকবে সাংস্কৃতিক উৎসব।
২৫ মার্চ ভয়াল কালোরাত পালনে সকালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্মৃতিচারন ও আলোচনাসভা। সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন। পরে রাত ৯টায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক পালন করা হবে ১ মিনিটের ব্লাক আউট কর্মসূচি।
২৬ মার্চ সূর্যদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনি এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হবে। এরপর সকাল ৭টায় শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হবে। সকাল সাড়ে সাতটায় সূর্যমনি বধ্যভূমি শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ। সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোল এবং ৯টায় শহীদ মোস্তফা খেলার মাঠে কুচকাওয়াজ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৪টায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
প্রতিটি দিবসে মসজিদে দোয়া ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থণার আয়োজন করা হবে। এসব দিবসে হাসপাতাল ও জেলখানায় পরিবেশন করা হবে উন্নতমানের খাবার।
প্রস্তুতিমূলক সভায় উপস্থিত ছিলেন, জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীরা