
শেখ সোহেল, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটে জলবায়ু ও পরিবেশের বিপর্যয় রোধে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর করণীয় শীর্ষক সভায় বক্তারা বলেছেন, বাগেরহাটে সরকারি তালিকাভুক্ত খালের মধ্যে ১৭৭টি প্রবাহমান থাকলেও প্রায় ৩০ বছর ধরে অনেক এলাকার কতিপয় প্রভাবশালীরা দখল করে নানা স্থাপনা তৈরি করায় অধিকাংশই বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
দখল, দূষণ ও ভরাটের কারনে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ১৩০টি খাল। এছাড়া অপরিকল্পিতভাবে লবণাক্ত পানি দীর্ঘদিন আটকে রাখায় উর্বরতা হারাচ্ছে ফসলি জমি। এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধান পেতে তুলে ধরেন।
সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাঁধনের আয়োজনে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় বক্তাদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে মার্চ-এপ্রিল মাসে কোথাও যেন লবণ পানির প্রবেশ বন্ধ এবং খাল দখলমুক্তের নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।
বাঁধনের নির্বাহী পরিচালক এ এস এম মঞ্জুরুল হাসান মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. শাহিনুজ্জামান, বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাসনিম, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ -পরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শরিফুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুরর হমান, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নীহার রঞ্জন সাহাসহ জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন, বনবিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস , জনস্বাস্থ্য, বিআরটিএ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরসহ আরো বিশটি দপ্তরের প্রতিনিধি ও গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।