বাংলাদেশ ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

পারাপারের জন্য কাঠের সাঁকোই এক মাত্র ভরসা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:২৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
  • ১৬৮৩ বার পড়া হয়েছে

পারাপারের জন্য কাঠের সাঁকোই এক মাত্র ভরসা

 

আবুল কালাম আজাদ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের উলিপুরে পারাপারের জন্য কাঠের সাঁকোই এক মাত্র ভরসা। ৪০ বছর থেকে স্লুইস তৈরির স্বপ্ন দেখছেন এলাকাবাসী। নিজেদের উদ্যেগে বাস ও কাঠের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন রাস্তা পারাপার করছেন শত শত মানুষ।

 

সরেজমিন উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড এর হোকডাঙ্গা হাজিপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তিস্তা নদীবেষ্টিত বাঁধের রাস্তার পাশে এক হাজারেরও বেশি পরিবার বাস করে আসছে। এলাকাবাসী নিজেরাই চাঁদা তুলে বাঁশ, কাঠ সংগ্রহ করে পর্যায়ক্রমে বাঁশের সাঁকো ও কাঠের পুল নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন। এ অবস্থা চলছে তাদের ৪০ বছর ধরে। তারা বারবার জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাস পেয়েছেন স্লুইচ গেট নির্মাণের। কিন্তু এলাকাবাসী জানিয়েছেন সেই আশ্বাস পূরণ হয়নি আজও। প্রাই ঘটতেছে দূর্ঘটনা। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও পাননি কোন প্রতিকার।

 

জানা গেছে, ওই এলাকার শতকরা ৯০ ভাগ লোক কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে। আজ থেকে ৪০ বছর আগে এলাকার কৃষকরা চাষাবাদের সুবিধায় পানি নিষ্কাশনের জন্য বাঁধের রাস্তাটি কেটে দেয়। তখন থেকে নানা প্রতিকূলতার মাঝে ফসল উৎপাদন করলেও যাতায়াত ও পরিবহনের অসুবিধায় ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না এই এলাকার কৃষকরা। এতে কৃষকদের বছরের পর বছর মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

 

জানা গেছে, বিগত দিনের নির্বাচনগুলোতে প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হন। তবে আজ পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেননি কোনো জনপ্রতিনিধি। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের সংযোগের পথ এই স্লুইস গেট। এই স্লুট গেট হলে এলাকার মানুষ এটি ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন। চলবে যানবাহন।

 

উক্ত এলাকার স্থানীয়দের মধ্যে আব্দুল মজিদ, আবু বক্কর, সাহেব আলী ও মানিক মিয়া সহ আরও অনেকে বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে ৪টি ইউনিয়নের স্কুল ও কলেজপড়ুয়া হাজারো শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ১০ হাজারের অধিক লোক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। হোকডাঙ্গা হাজীপাড়ার একাংশের চাষের জমি এই তিস্তার পানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখানে স্লুইস গেট নির্মাণ না করায় পানি নিয়ন্ত্রণ করার কোনো সুযোগ নেই। প্রতি বছর বন্যায় কাঠের পুলের নিচ দিয়ে চাষের জমিতে অবাধে পানি ঢুকে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা আরো জানান, শুধু ফসলের ক্ষতি হয় তা নয়, বর্ষা মৌসুমে শিশুদের এই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুলের ওপর দিয়ে স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়। তারা পানিতে পড়ে মরতে পারে।

 

একই এলাকার অষ্টম শেনীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম ও নুর হোসেন সহ আরও অনেক শিক্ষার্থী বলেন, বিশেষ করে বর্ষায় বন্যার সময় আমাদের বিদ্যালয় যেতে অনেক সমস্যা হয়। আমরা অনেক ঝুকি নিয়ে সাঁকো পাড় হয়ে বিদ্যালয়ে যাই। আমরা স্লুইস তৈরির দাবী জানাচ্ছি।
থেতরাই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা এ ব্যাপারে বলেন, তিস্তা বেষ্টিত নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এই এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, দরিদ্র কৃষক ও হাজারো পথচারীর সুবিধার্থে এখানে একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন এ বিষয়ে বলেন, উক্ত এলাকার কাঠের সাঁকোটি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। সেখানে একটি স্লুইস তৈরি করা হবে। স্লুইস স্টাডি চলমান রয়েছে। স্টাডি শেষে উক্ত স্লুইস এর জন্য প্রকল্পের আবেদন করা হবে। প্রকল্পটি হাতে পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

পারাপারের জন্য কাঠের সাঁকোই এক মাত্র ভরসা

আপডেট সময় ০৬:২৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

 

আবুল কালাম আজাদ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের উলিপুরে পারাপারের জন্য কাঠের সাঁকোই এক মাত্র ভরসা। ৪০ বছর থেকে স্লুইস তৈরির স্বপ্ন দেখছেন এলাকাবাসী। নিজেদের উদ্যেগে বাস ও কাঠের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন রাস্তা পারাপার করছেন শত শত মানুষ।

 

সরেজমিন উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড এর হোকডাঙ্গা হাজিপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তিস্তা নদীবেষ্টিত বাঁধের রাস্তার পাশে এক হাজারেরও বেশি পরিবার বাস করে আসছে। এলাকাবাসী নিজেরাই চাঁদা তুলে বাঁশ, কাঠ সংগ্রহ করে পর্যায়ক্রমে বাঁশের সাঁকো ও কাঠের পুল নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন। এ অবস্থা চলছে তাদের ৪০ বছর ধরে। তারা বারবার জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাস পেয়েছেন স্লুইচ গেট নির্মাণের। কিন্তু এলাকাবাসী জানিয়েছেন সেই আশ্বাস পূরণ হয়নি আজও। প্রাই ঘটতেছে দূর্ঘটনা। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও পাননি কোন প্রতিকার।

 

জানা গেছে, ওই এলাকার শতকরা ৯০ ভাগ লোক কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে। আজ থেকে ৪০ বছর আগে এলাকার কৃষকরা চাষাবাদের সুবিধায় পানি নিষ্কাশনের জন্য বাঁধের রাস্তাটি কেটে দেয়। তখন থেকে নানা প্রতিকূলতার মাঝে ফসল উৎপাদন করলেও যাতায়াত ও পরিবহনের অসুবিধায় ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না এই এলাকার কৃষকরা। এতে কৃষকদের বছরের পর বছর মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

 

জানা গেছে, বিগত দিনের নির্বাচনগুলোতে প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হন। তবে আজ পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেননি কোনো জনপ্রতিনিধি। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের সংযোগের পথ এই স্লুইস গেট। এই স্লুট গেট হলে এলাকার মানুষ এটি ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন। চলবে যানবাহন।

 

উক্ত এলাকার স্থানীয়দের মধ্যে আব্দুল মজিদ, আবু বক্কর, সাহেব আলী ও মানিক মিয়া সহ আরও অনেকে বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে ৪টি ইউনিয়নের স্কুল ও কলেজপড়ুয়া হাজারো শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ১০ হাজারের অধিক লোক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। হোকডাঙ্গা হাজীপাড়ার একাংশের চাষের জমি এই তিস্তার পানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখানে স্লুইস গেট নির্মাণ না করায় পানি নিয়ন্ত্রণ করার কোনো সুযোগ নেই। প্রতি বছর বন্যায় কাঠের পুলের নিচ দিয়ে চাষের জমিতে অবাধে পানি ঢুকে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা আরো জানান, শুধু ফসলের ক্ষতি হয় তা নয়, বর্ষা মৌসুমে শিশুদের এই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুলের ওপর দিয়ে স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়। তারা পানিতে পড়ে মরতে পারে।

 

একই এলাকার অষ্টম শেনীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম ও নুর হোসেন সহ আরও অনেক শিক্ষার্থী বলেন, বিশেষ করে বর্ষায় বন্যার সময় আমাদের বিদ্যালয় যেতে অনেক সমস্যা হয়। আমরা অনেক ঝুকি নিয়ে সাঁকো পাড় হয়ে বিদ্যালয়ে যাই। আমরা স্লুইস তৈরির দাবী জানাচ্ছি।
থেতরাই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা এ ব্যাপারে বলেন, তিস্তা বেষ্টিত নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এই এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, দরিদ্র কৃষক ও হাজারো পথচারীর সুবিধার্থে এখানে একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন এ বিষয়ে বলেন, উক্ত এলাকার কাঠের সাঁকোটি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। সেখানে একটি স্লুইস তৈরি করা হবে। স্লুইস স্টাডি চলমান রয়েছে। স্টাডি শেষে উক্ত স্লুইস এর জন্য প্রকল্পের আবেদন করা হবে। প্রকল্পটি হাতে পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।