
শাকিল আহম্মেদ , সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি:
জামালপুরের হাফজিয়া মাদ্রাসা ও কবর স্থানের ওয়াকফু জায়গা জোরপূর্বক দখলে চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে দাওয়া পাল্টা দাওয়া সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বিলবালিয়া দোপাদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে অত্যন্ত ৬ জন আহত হয়েছেন। গুরুত্বর আহতরা হলেন- মৃত হাজী সাইফুল ইসলামের ছেলে এনামুল হক (৩৬), রাশেদুল ইসলাম এবং আবু সাঈদ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বিলাবালিয়া গ্রামের এনামুল হকের পিতা মৃত হাজী সাইফুল ইসলাম (বিলবালিয়া দুপাদহ নুরানীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও কবর) স্থানের জন্য ১০ শতাংশ জায়গা (যাহার দাগ নং- ১৯০, খতিয়ান নং- ৬১১) ওয়াকফু করে দেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সেই জায়গাতে ভুয়া দলিল দেখি, জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করতে জান একই গ্রামের খালেক ফকিরের ছেলে মিজানুর রহমান ফকির (৩৬)। এসময় ওয়াকফু করে দেওয়া জমি দাতার ছেলে এনামুল হক এসে বাধাঁ দেয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এক পর্যায় মিজানুর ফকিরসহ তার সহযোগী কামাল ফকির (৪৫), ইদ্রিস ফকির (৫৫) সোহান মিয়া (২১) সহ ১০-১৫ জনের একটি দল লোহার রট, দা, বটি, জিআই পাই ও বাঁশের লাঠিসোটা নিয়ে এনামুল হকের উপড় হামলা চালায়। এসময় এনামুল হকের ভাইসহ অন্যান্যরা ফেরাতে আসলে তাদের কেউ এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। এতে অত্যন্ত ৬ জন আহত হন। পরে গুরুত্ব আহতদের সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এঘটনায় আহত এনামুল হক জানান, তার পিতা মরহুম হাজী সাইফুল ইসলাম এই জায়গা মাদ্রাসা ও কবর স্থানের জন্য ওয়াকফু করে দিয়েছেন। এখন ভূয়া দলিল তৈরি করে বেআইনি ভাবে জোরপূর্বক হুমকি দিয়ে লাঠিসোটার ভয় দেখি এই জমি দখল নিতে চাচ্ছেন মিজানুর ফকির।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মীর রকিবুল হক বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।