
প্রেস রিলিজ:
ফতুল্লায় চাঞ্চল্যকর “আবজাল প্রধান” হত্যাকান্ডের এজাহারনামীয় মূল আসামী র্যাব ১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক গ্রেফতার॥
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ১৫ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন বাংলাবাজার কাশীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ফতুল্লায় চাঞ্চল্যকর “আবজাল প্রধান (৩৮)” হত্যা মামলার এজাহারনামীয় মূল আসামী কাউসার মুন্সি (৪০), পিতা- খলিল মুন্সি, সাং- দেওভোগ নূর মসজিদ, থানা- ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ’কে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ভিকটিম আবজাল প্রধান ফতুল্লা থানাধীন পশ্চিম দেওভোগ বাংলা বাজার এলাকায় সিমেন্টের ব্যবসা করতো। গত ০৬/০৪/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ০৮.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম আবজাল প্রধান বাসা থেকে বের হয়ে ফতুল্লা থানাধীন দেওভোগ মাদ্রাসা মার্কেটের পিছনে নিজাম হাজীর বাড়ীর পাশে হাসেমবাগ যাওয়ার রাস্তায় পৌছালে পূর্ব-শত্রুতার জের ধরে গ্রেফতারকৃত আসামী কাউসার মুন্সিসহ তার অন্যান্য সহযোগীরা পরস্পর যোগ সাজসে ভিকটিম আবজাল প্রধান’কে রামদা, চাপাতি, ছোরা, চাকু, কেচি, লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে। ঘটনার এক পর্যায়ে ভিকটিম অজ্ঞাতনামা একটি অটোযোগে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে চলে আসে। ভিকটিমের পিতা ও স্ত্রী খবর পেয়ে ভিকটিমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে আসে এবং ভিকটিমকে দ্রুত জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া) নারায়ণগঞ্জ এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত বলে ঘোষনা করে। এ পাশবিক ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোঃ এবাদুল হোসেন প্রধান (৬৫) বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-২৪, তারিখ ০৬ এপ্রিল ২০২৩। উক্ত হত্যাকান্ডের পর হতে এজাহারনামীয় পলাতক আসামী কাউসার মুন্সি (৪০)সহ তার অন্যান্য সহযোগীরা কৌশলে আত্মগোপন করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত পলাতক আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে এবং আসামী কাউসার মুন্সি (৪০)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
—–স্বাক্ষরিত—–
মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু
সিনিয়র এএসপি
সহকারী পরিচালক
মিডিয়া অফিসার
র্যাব-১১,আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ।