
সিরাজুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
গ্রীষ্ম মানেই তীব্র তাপদাহ। খাঁ খাঁ রোদ্দুর আবার কখনো বৃষ্টি। ক্লান্ত পথিক। এ সময়ই প্রকৃতি সাজে তার নানা রঙনিয়ে। গাছে গাছে বাহারি সব ফুল যেন গ্রীষ্মের তাপদহের সব ক্লান্তি দূর করে দেয়! গ্রীষ্মকালীন কয়েকটি ফুলের মধ্যে ‘সোনালু’ অন্যতম।
হলদে সোনালী রঙের সোনালু ফুল বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য গ্রীষ্মের পুরোটা সময় ধরে। নিজের শোভায় বর্ধিত করে রাখে চারিদিক।
গ্রাম্য ভাষায় লোকে সোনালি রঙের ফুল ফোটে বলে এটিকে সোনালু গাছ বলে চিনে। কোন কোন অঞ্চলে গ্রাম্য ভাষায় একে বানর লাঠিগাছ নামেও ডাকে বলে জানা যায়।
একটি সোনালু গাছ সাধারণত ১৫ থেকে ২০ মিটার উচ্চতার হয়। বসন্তের শেষে ফুলের কলি আসার আগে গাছে নতুন পাতা গজায়। আর গ্রীষ্মকাল পুরোটা সময় জুড়ে গাছে সোনালী রঙের ফুল ফুটে থাকে। সোনালু গাছ আর বর্তমানে তেমন একটা চোখে পড়ে না।
জানা গেছে, সোনালু গাছের কাঠের তেমন একটা ব্যবহার হয় না বলেই মানুষ এ গাছ রোপণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। ঠাকুর গাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় রাস্তার ধারে গ্রামের আনাচে কানাচে এখনো কয়েক টি গাছ তার বর্ধিত সভায় নিজের মত করে দাঁড়িয়ে আছে। হরিপুর উপজেলার টেংরিয়া গ্রামের স্হানীয় বাসিন্দা মোঃ আমিনুল ইসলাম (৬৫) জানান আগে আমাদের এলাকায় অনেক বন জংগল ছিল ঐ সময় অনেক সোনালু গাছ চোখে পড়তো কিন্তু লোকজনের বসতির ফলে সব গাছ পালা কেটে ফেলার ফলে বর্তমানে আর তেমনটা এই গাছ আর চোখে পড়ে না।জানা যায় এই সোনালু গাছ ঔষধের গুণে ভরপুর বর্তমানে ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে এর বহুল ব্যবহার রয়েছে ।