
স্বীকৃতি বিশ্বাস, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
জলাবদ্ধ ভবদহ পাড়ের বিলবোকড়ের কিছু অংশ, শুড়িরডাঙ্গী,গান্ধীমারাসহ কয়েকটি বিলের জমে থাকা পানি জমির মালিকেরা স্বউদ্যোগে সেচে বোরোধান আবাদের চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিলের বাইরে পানির চাপ বেশি থাকায় সেচ দেওয়ার পরও ধান লাগানো ক্ষেতে পানিতে ভরে যাচ্ছে।
এদিকে ভবদহ স্লুইসগেট দিয়ে বর্তমানে পানি অপসরণের কোন সুযোগ না থাকায় ১৬ বিলের কমবেশি ২২ হাজার হেক্টর জমি কোনভাবেই বোরো আবাদের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।আর কয়েকটি বিল কৃষকেরা সেচ দিয়ে আবাদ করার পরও পানিতে ভরে যাচ্ছে বিধায় চাষাবাদকৃত বিলের বাইরের পানির চাপ থেকে রোপাধানকে রক্ষা করতে পানি অপসরণের জন্য বিকল্প আমডাঙ্গা খালই একমাত্র ভরসা।
কিন্তু দীর্ঘদিন আমডাঙ্গা খাল সংস্কার ও খালে জমে থাকা শেওলা এবং ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার না করায় পানি প্রবাহে বাঁধার সৃষ্টি করছিল। কিন্তু স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের এ খাল সংস্কার এবং শেওলা ও আবর্জনা পরিষ্কারের দিকে কোন সুনজর না থাকায় ১৮ ফেব্রুয়ারী ( শুক্রবার) ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রনজিত বাওয়ালীর উদ্যোগে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আমডাঙ্গা খালের শেওলা ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়। তাদের এই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে ভবদহ পাড়ের কয়েকশত জনগণ আমডাঙ্গা খালের শেওলা ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির অন্যতম নেতা চৈতন্য কুমার পাল, শিবুপদ বিশ্বাস, সুন্দলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিকাশ চন্দ্র রায় কপিল, আওয়ামী লীগ নেতা অধীর পাড়েসহ আরও অনেকে।
তাদের দাবি ভবদহ স্লুইসগেট দিয়ে পানি অপসরণের জন্য মুক্তেশ্বরী, শ্রী হরি,টেকাসহ সকল নদী ও খাল পলি পড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন একমাত্র বিকল্প পথ আমডাঙ্গা খাল দিয়ে পানি অপসারিত করে ভৈরব নদে ফেলানো। নেতাদের বক্তব্য আমডাঙ্গা খালের শেওলা ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করায় পানির স্রোতের গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পূর্বের থেকে বেশি পানি অপসারিত হচ্ছে।
আর তাই তাদের দাবী ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে এই আমডাঙ্গা খাল খনন করে গভীর ও প্রশস্ত করা এবং মৃতপ্রায় নদী ও খালের প্রাণ ফিরিয়ে আনার সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সকল খনন কাজ করানো এবং ভবদহের নিকটবর্তী বিল কপালিয়ায় টিআরএম চালু করা ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ বিড়ম্বনা ছাড়া প্রদান করা।