
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ভিকটিম খুলনা জেলার দৌলতপুর থানাধীন এলাকায় একটি টিনসেড বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ভিকটিমের প্রতি আসামী মোঃ আল-আমিন এর অনেক দিন যাবত খারাপ নজর ছিল এবং বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিত। গত ১৩-০৯-২০২৩ তারিখ রাতে ভিকটিমের স্বামী বাড়ির বাইরে থাকায় সেই সুযোগে আসামী আল-আমিনসহ অন্যান্য আরও ১০-১৫ জন মিলে ভিকটিমের টিনসেড ভাড়া বাড়িতে যায় এবং পুনরায় কুপ্রস্তাব দেয়। ভিকিটিম কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আসামীরা জোরপুর্বক ভিকটিমের ঘরে প্রবেশ করে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালক্রমে ধর্ষন করে। ভিকটিম চিৎকার করিলে আাসামীরা বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে ভিকিটিম অসুস্থ্য অবস্থায় স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা শেষে দৌলতপুর থানায় গিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে গণধর্ষনের একটি মামলা করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয় এবং জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনার পর থেকে আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মূল আসামী মোঃ আল-আমিন এর অবস্থান জানা গেলেও সে খুব ধূর্ত হওয়ায় তিনি বারবার অবস্থান পরিবর্তন করে বরিশাল, ঢাকা, সাভারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকেন।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত গণধর্ষণ মামলার আসামীরা বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানা এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ ভোরে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানাধীন বড়বাড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে অভিযান পরিচালনা করে গণধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামী ১। মোঃ আল-আমিন (৩৯), থানা-দৌলতপুর, জেলা-কেএমপি খুলনাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আছে মর্মে স্বীকার করে।