বাংলাদেশ ০৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৫১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৬৯১ বার পড়া হয়েছে

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

 

 

 

 

 

 

 

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা উত্তোলনের কারণে কয়লা খনি ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন। আজ শনিবার সকাল ১১টায় পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসালম এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বৈগ্রাম ও কাশিয়াডাঙ্গার প্রায় দেড় হাজার পরিবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় বৈগ্রাম মোড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

 

 

 

মানববন্ধনে কয়লা খনি ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেন, খনি হওয়ার কারণে এলাকার মানুষ মোনে করেছিল আমাদের পরিবর্তন হবে কিন্তু খনি হওয়ার কারণে এখন আমাদেরকে সব সময় আতংকে থাকতে হচ্ছে। শত শত বসতবাড়ী কম্পনের কারণে ফেটে যাচ্ছে। বাড়ীর টিউবয়েলগুলিতে কোন পানি উঠছে না, বৈগ্রাম কাশিয়া ডাঙ্গা গ্রাম থেকে ফুলবাড়ী পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল অবস্থা, কৃত্রিম ভূমিকম্পনের কারণে ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকা দায় হয়েছে। ক্ষনি কর্তৃপক্ষকে বার বার এই এলাকার সমস্যা নিয়ে কথা বললেও তারা আমাদের কোন কথা কর্ণপাত করেন না।

 

 

 

 

 

তিনি মানববন্ধনে আরও বলেন, আমাদের ৬ দফা দাবি মধ্যে রয়েছে। ক্ষতি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবার হতে চাকুরি দেওয়ার থাকলেও গত ০৫ বছরেও তা দেওয়া হয়নি। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থদের স্থায়ী চাকুরি দিতে হবে, বৈগ্রাম ও কাশিয়া ডাঙ্গা দুটি গ্রামের পরিবারদেরকে দ্রুত পুণঃ বাসন করতে হবে, মাইনিং সিটি অথবা উন্নতমানের বাসস্থান তৈরি করে দিতে হবে, অবশিষ্ট ক্ষতি পূরনের টাকা দিতে হবে, প্রতিটি গ্রামে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে, মসজিদ, মন্দির, স্কুল কলেজ এবং এই এলাকায় উন্নত মানের একটি হাসপাতাল নির্মান করতে হবে, ক্ষনির উত্তোলনকৃত কয়লার ৫% বোনাস দিতে হবে।

 

 

 

 

 

 

আমাদের দাবি বাস্তবায়নে খনি কর্তৃপক্ষ ও পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংসদ সদস্যকে অবগত করলেও আজ পর্যন্ত কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছেনা। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে আর কতদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই গ্রামগুলিতে বসবাস করব? এই এলাকার ভূ-গর্ভ থেকে কয়লা তোলার কারণে প্রতিনিয়ত দেবে যাচ্ছে। আমরা এখান থেকে অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাব, রাস্তার বেহাল অবস্থা থাকায় অ্যাম্বুলেন্স্ ও এই গ্রামগুলিতে আসতে চায় না।

 

 

 

 

 

 

তাহলে আপনারা বোঝেন আমরা কিভাবে জীবনযাপন করছি? সংগঠনের সহ-সভাপতি মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানে কেউ এগিয়ে আসছে না। এই এলাকার নির্বাচীত সংসদ সদস্য কে মানুষের সুখ দুঃখের দিনেও পাশে পাওয়া যায় না। তিনি এলাকার উন্নয়ন তো দুরের কথা দেখতেও আসেন না।

 

 

 

 

 

 

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বৈগ্রাম কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আবেদ আলী, আব্দুর রহমান বাচ্চু, শফিকুল ইসলাম, মিনহাজুল, মহিলা মেম্বর মোছাঃ পুতু মনি, তৃপ্তি বেগম সহ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

এই বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

 

 

 

পরিশেষে সভাপতি বলেন, আমাদের আজকের এই সমাবেশে দাবী মেনে না নিলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যহত থাকবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৩:৫১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

 

 

 

 

 

 

 

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা উত্তোলনের কারণে কয়লা খনি ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন। আজ শনিবার সকাল ১১টায় পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসালম এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বৈগ্রাম ও কাশিয়াডাঙ্গার প্রায় দেড় হাজার পরিবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় বৈগ্রাম মোড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

 

 

 

মানববন্ধনে কয়লা খনি ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেন, খনি হওয়ার কারণে এলাকার মানুষ মোনে করেছিল আমাদের পরিবর্তন হবে কিন্তু খনি হওয়ার কারণে এখন আমাদেরকে সব সময় আতংকে থাকতে হচ্ছে। শত শত বসতবাড়ী কম্পনের কারণে ফেটে যাচ্ছে। বাড়ীর টিউবয়েলগুলিতে কোন পানি উঠছে না, বৈগ্রাম কাশিয়া ডাঙ্গা গ্রাম থেকে ফুলবাড়ী পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল অবস্থা, কৃত্রিম ভূমিকম্পনের কারণে ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকা দায় হয়েছে। ক্ষনি কর্তৃপক্ষকে বার বার এই এলাকার সমস্যা নিয়ে কথা বললেও তারা আমাদের কোন কথা কর্ণপাত করেন না।

 

 

 

 

 

তিনি মানববন্ধনে আরও বলেন, আমাদের ৬ দফা দাবি মধ্যে রয়েছে। ক্ষতি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবার হতে চাকুরি দেওয়ার থাকলেও গত ০৫ বছরেও তা দেওয়া হয়নি। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থদের স্থায়ী চাকুরি দিতে হবে, বৈগ্রাম ও কাশিয়া ডাঙ্গা দুটি গ্রামের পরিবারদেরকে দ্রুত পুণঃ বাসন করতে হবে, মাইনিং সিটি অথবা উন্নতমানের বাসস্থান তৈরি করে দিতে হবে, অবশিষ্ট ক্ষতি পূরনের টাকা দিতে হবে, প্রতিটি গ্রামে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে, মসজিদ, মন্দির, স্কুল কলেজ এবং এই এলাকায় উন্নত মানের একটি হাসপাতাল নির্মান করতে হবে, ক্ষনির উত্তোলনকৃত কয়লার ৫% বোনাস দিতে হবে।

 

 

 

 

 

 

আমাদের দাবি বাস্তবায়নে খনি কর্তৃপক্ষ ও পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংসদ সদস্যকে অবগত করলেও আজ পর্যন্ত কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছেনা। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে আর কতদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই গ্রামগুলিতে বসবাস করব? এই এলাকার ভূ-গর্ভ থেকে কয়লা তোলার কারণে প্রতিনিয়ত দেবে যাচ্ছে। আমরা এখান থেকে অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাব, রাস্তার বেহাল অবস্থা থাকায় অ্যাম্বুলেন্স্ ও এই গ্রামগুলিতে আসতে চায় না।

 

 

 

 

 

 

তাহলে আপনারা বোঝেন আমরা কিভাবে জীবনযাপন করছি? সংগঠনের সহ-সভাপতি মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানে কেউ এগিয়ে আসছে না। এই এলাকার নির্বাচীত সংসদ সদস্য কে মানুষের সুখ দুঃখের দিনেও পাশে পাওয়া যায় না। তিনি এলাকার উন্নয়ন তো দুরের কথা দেখতেও আসেন না।

 

 

 

 

 

 

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বৈগ্রাম কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আবেদ আলী, আব্দুর রহমান বাচ্চু, শফিকুল ইসলাম, মিনহাজুল, মহিলা মেম্বর মোছাঃ পুতু মনি, তৃপ্তি বেগম সহ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

এই বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

 

 

 

পরিশেষে সভাপতি বলেন, আমাদের আজকের এই সমাবেশে দাবী মেনে না নিলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যহত থাকবে।