
মোঃ মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জঃ
শীতের শুরুতেই সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের ফুটপাত, পাড়া-মহল্লার দোকানের সামনে বসেছে শীতের বিভিন্ন ধরনের পিঠার দোকান। এসব দোকানে খোলার পিঠা, চিতই পিঠা, রুটির পিঠা সহ নানা প্রকার পিঠা বিক্রি করা হয়।বিশেষ করে ভাঁপা ও রুটির পিঠা।
প্রতিদিন ফজর নামাজের পর থেকে সকাল ৯ টা ও বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলে এ পিঠা বিক্রি। এসব পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় করছেন অনেকেই। উপজেলার নিমগাছী, ভূইয়াগাতী, চান্দাইকোনা, ধানগড়া ও পাঙ্গাসীসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বসানো হয়েছে এসব ভ্রাম্যমান পিঠার দোকান।
সকালের পাশাপাশি বিকেল বেলাতেও জমে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের শীতের পিঠা বিক্রির জমজমাট বেচাকেনা। আমাদের দেশে শতাধিক ধরনের পিঠার প্রচলন রয়েছে। তবে ফুটপাতের পিঠার দোকানগুলোতে কয়েক ধরনের পিঠা পাওয়া যায়। তার মধ্যে সব চাইতে বেশি পাওয়া যাচ্ছে রুটি ও ভাঁপা পিঠা।
উপজেলার বেশ কয়েকজন পিঠা বিক্রেতার সাথে কথা হলে তারা জানান, শীত এলেই প্রতিদিন সকাল-বিকেলে পাড়া-মহল্লাসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে পিঠা বিক্রি করে থাকেন। এতে করে একেকজন দৈনিক দের হাজার থেকে দুই হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করে থাকেন।
উপজেলার চান্দাইকোনা বাজারে আসা পিঠা ক্রেতা স্কুল শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, শীতের মৌসুমে ফুটপাতে অনেক ধরনের পিঠা বিক্রি করা হয়। শীতের মধ্যে গরম গরম ভাঁপা পিঠা খেতে বেশ ভালই লাগে। তাছাড়া ফুটপাতের পিঠা হলেও এগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্নভাবেই তৈরি করা হচ্ছে। তাছাড়া এই পিঠা বিক্রি করেই সংসার চালাচ্ছেন অনেকেই।