
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল ও শ্যামপুর এলাকায় অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার, ভেজাল শিশুখাদ্য, অনুমোদনহীন প্লাস্টিক ও মেলামাইন সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৬ লক্ষ টাকা জরিমানা।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০৫/০২/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সকাল ১১:০০ ঘটিকা হইতে সন্ধ্যা ১৮:২৫ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল ও শ্যামপুর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে।
এসময় বিএসটিআই এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লেখিত এলাকায় অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার, ভেজাল শিশুখাদ্য, অনুমোদনহীন ফ্যাক্টরিতে প্লাস্টিক ও মেলামাইন সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে ০৫টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ১৬,০০,০০০/- (ষোল লক্ষ) টাকা জরিমানা প্রদান করেন।
যার মধ্যে ১। মইন কনজুমার প্রডাক্টস’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, ২। জেনেরিক এগ্রো’কে নগদ- ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা ৩। মেসার্স শহীদ মেলামাইন’কে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা ৪। সেতু প্লাস্টিক’কে নগদ- ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা ৫। মেসার্স রয়েল ড্রয়িং এন্ড কপার ওয়ার’কে নগদ- ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতে আনুমানিক ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা মূল্যের মালামাল জব্দ করতঃ ধ্বংস করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার, ভেজাল শিশুখাদ্য, অনুমোদনহীন প্লাস্টিক ও মেলামাইন সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করে আসছিল।
আমিনুল ইসলাম
উপপরিচালক
অপ্স অফিসার, র্যাব-১০
অধিনায়কের পক্ষে
মোবাইল-০১৭৭৭-৭১১০০৩