
উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া, বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।
বাগেরহাটের কচুয়ায় চেতনা নাশক ঘুমের ঔষধ খাইয়ে আলমগীর হোসেন বাওয়ালি (৫০) নামের এক ব্যক্তির পরিবারের সর্বস্ব লুটে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি ঘটছে বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের বগা গ্রামে।এ বিষয়ে জানাযায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে আলমগীর হোসেন বাওয়ালি সহ তার পরিবারের সবাইকে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে ঘুমপারিয়ে এদিন রাতে ঘরের তালা ভেঙ্গে নগদ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা, একটি ট্যাব সহ স্বর্নলংকার মিলিয়ে মোট ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এদিন রাতে ভুক্তভোগীর নিজ বাড়িতে তাকে সহ তার স্ত্রী হাচিনা বেগম (৩৮), মেয়ে তাছলিমা আক্তার (১৬), ছেলে রেদোয়ান (১১), মাতা জয়তুন্নেছা বেগম (৮০) সকলেই অচেতন অবস্থায় ছিলেন। শনিবার সকালে মেয়ে তাছলিমার জ্ঞান ফিরলে ঘরের সবকিছু এলোমেলো ও সবাইকে অচেতন দেখে ডাক চিতৎকার দিলে পাশ্ববর্তী লোকজন ছুটে এসে পরিবারের সবাইকে তাৎক্ষণিক কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সকলের জ্ঞান ফিরেছে তবে জয়তুন্নেছা বেগম ৮০ বছরের বৃদ্ধ হওয়ায় তার অবস্থা কিছুটা খারাপ।এখন পর্যন্ত সবাই কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিবারের সবাই এখনো পুরোপুরি সুস্থ্য না সবাই এখন কচুয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।তাই থানায় এখনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি।তবে মৌখিক ভাবে কচুয়া থানায় ঘটনাটি জানানো হয়েছে।সবাই সুস্থ্য হলে মামলার প্রস্তুতি রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানিয়োছেন, এ ঘটনার সাথে স্থানীয় মাদকাসক্ত জুয়ারি গ্রুপের লোকজন জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ মনিসংকর পাইক বলেন, ১০ তারিখ আনুমানিক ৯ টায় দিকে একই পরিবারের ৫ জন ঘুমের ঔষধে আক্রান্ত অথবা স্প্রেতে আক্রান্ত হয়ে আমাদের এখানে ভর্তি হয়েছে।সবার অবস্থা এখন আসঙ্খামুক্ত।বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ মহসীন হোসেন বলেন, এ ঘটনার পর আমাদের কচুয়া থানা পুলিশ ও পিবিআই সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।আমরা তদন্ত করে ঘটনার সাথে জরিতদের উদঘাটন করার চেষ্টা করছি।তবে এ ঘটনায় আমাদের কাছে এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি।লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।