
মোঃ মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জঃ
কালের বিবর্তনে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র। এক সময় মাটির জিনিসপত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করতেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মৃৎশিল্পরা। কিন্তু বর্তমানে পৃষ্ঠপোষকতা ও নানা জটিলতার কারণে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প।
এক সময় সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মাটির বিভিন্ন ধরনের হাড়ি-পাতিল বোঝই ভাঁড় নিয়ে বিক্রেতারা ছুটে চলতেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে। কিন্তু বর্তমান বাজারে কাঁচ, অ্যালুমিনিয়াম, সিলভার, মেলামাইন ও প্লাস্টিকের কাছে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র।
উপজেলার ধানগড়া পালপাড়া গ্রামের পরিতোশ পাল জানান, এক সময় মাটির তৈরি হাঁড়ি, পাতিল, কলসি, রঙিন ফুলদানি, ফুলের টপ, হাতি, ঘোড়া সহ নানা রঙের পুতুল ও বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রী উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও গ্রামে গ্রামে বিক্রি করে সংসার চালাতাম।
কিন্তু এখন প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের চাপে আগের মতো আর বেচাবিক্রি নেই। কোনো মতে পিঠা ভাজার খোলা, অল্প কিছু হাড়ি-পাতিল, মাটির ব্যাংক ও অর্ডার মোতাবেক কিছু ল্যাট্টিনের পাট তৈরি করে কোনো মতে চালাতে হচ্ছে সংসার। আবার অনেকেই বাপ-দাদার বংশীয় পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। আবার যারা বাপ- দাদার রেখে যাওয়া এ পেশা আঁকড়ে ধরে আছেন, তাদের দিন যাচ্ছে অতি কষ্টে। এদিকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে হারিয়ে যাওয়া এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন উপজেলার অধিকাংশ মৃৎশিল্পরা।