
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
০২(দুই) বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন ‘হিযবুত তাহরীর’র নেতা সাজিদ বিন আলম (২৯)‘কে রাজধানীর কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, জঙ্গি, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া জঙ্গি আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করে র্যাব।
দুটি সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা ও কলাবাগান থানার মামলা নং- ০৩(১২)১৪, তারিখ-০৫/১২/১৪, ধারা- ৯(৩) সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) মামলায় ০২(দুই) বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন ‘হিযবুত তাহরীর’র নেতা সাজিদ বিন আলম (২৯), পিতা- মোঃ শামসুল আলম, থানা- হাটহাজারী, জেলা- চট্টগ্রাম’ কে গতকাল ১৯ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ১২.১৫ ঘটিকায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
সাজিদ বিন আলম (২৯) নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘হিজবুত তাহরীর’র দাওয়াতি বিভাগের দায়িত্বশীল সদস্য। সাজিদ বিন আলম (২৯) এর বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান ও রমনা থানায় ০২(দুই)টি সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রয়েছে এবং কলাবাগান থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় ০২(দুই) বছরের সাজা গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে।
সে দীর্ঘ দিন ধরে আত্মগোপনে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে চলে। আত্মগোপনে থেকে জঙ্গী সংগঠন ‘হিজবুত তাহরীর’র কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গতকাল ১৯/০২/২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ১২.১৫ ঘটিকায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সাজিদ বিন আলম (২৯)’কে গ্রেফতার করে।
জানা যায় যে, সাজিদ বিন আলম একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র। সে ঢাকার বিভিন্ন গণপরিবহন তথা বাসে উগ্রবাদী লিফলেট ও পোষ্টার বিতরণের মাধ্যমে দেশের সাধারন জনগনেকে উগ্রবাদে সম্পৃক্ত করতে উৎসাহিত করে থাকে। সে ২০১৭সালে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বাংলাদেশ সরকারে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিটিং উগ্রবাদী নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংঘটন ‘হিযবুত তাহরীর’ লিফলেট ও পোষ্টার বিতরণের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হাতে আটক হয়।
পরবর্তীতে ছাত্র-শিক্ষক মিলে তাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। আটকের পর সে ৬ (ছয়) মাস কারাবাস করার পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে বের হয়ে পুনরায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্র জঙ্গীবাদী লিফলেট, বই প্রচার ও নওযুবক তথা তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গিবাদে উৎসাহিত করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত আসামির নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘হিযবুত তাহরীর’ অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
শিহাব করিম, সিনিঃ এএসপি
সিনিঃ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া)
পক্ষে অধিনায়ক
০১৭৭৭-৭১০২০৩