বাংলাদেশ ০৩:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

ঝালকাঠিতে শিক্ষার্থীদের অনুদানের টাকা প্রধান শিক্ষকের পকেটে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৫৮:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৬৩০ বার পড়া হয়েছে

আমুয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মনজুরুল হক।

 

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার ১১টি স্কুলে পিবিজিএসআই কর্তৃক ৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ পান ২০জন করে শিক্ষার্থীরা। তবে আমুয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনুদানের টাকার ভাগ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমুয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে পিবিজিএসআই এর বরাদ্দকৃত জন প্রতি ৫ হাজার টাকা ওই বিদ্যালয়ের ২০ জন অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের নামে আসে। তবে শিক্ষার্থীদের ৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক কোন শিক্ষার্থীকে দিচ্ছেন ১৭৫০ টাকা, আবার কাউকে দিচ্ছেন ১৯৮০, এবং অনেক জনকে ২ হাজার টাকা করেও দিছেন। বাকি টাকা স্কুলের স্পোর্টসে খরচ করার কথা বলে তার পকেটে রাখেন।

আমুয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সাবিনার বাবা জাকির শিকদার বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে প্রধান শিক্ষক মনজুরুল হক আমাকে ফোন করে বলেন আপনার কিছু টাকা আছে। আপনি স্কুলে এসে নিয়ে যান। স্কুলে যাবার পরে আমার বিকাশ অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার টাকা ট্রান্সফার করেন প্রধান শিক্ষক। এরপর আমার কাছ থেকে তাৎক্ষণিক মোবাইল নিয়ে ৪ হাজা ৯ শত টাকা তার মোবাইলে নেন তিনি। এবং আমার মোবাইলে ১৯ শত ৮০ টাকা রেখেদেন, বাকি টাকা কোথায় গেল এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

দশম শ্রেণীর ছাত্রী তানজিলা আক্তারের বাবা মো. জলিল বলেন, আমাকে প্রধান শিক্ষক কলে দিয়ে স্কুলে যেতে বলে। স্কুলে যাওয়ার পরে প্রধান শিক্ষক মনজুরুল হক স্যার বলেন আমার মেয়ে ২ হাজার টাকা পেয়েছে। তার থেকে ২০০টাকা স্কুলের কি কাজে লাগবে তাই রেখে দিছে আমাকে ১৭শত টাকা আমার হাতে দেন তবে আর ১০০টাকা কোথায় তা জানি না৷ আমি মূর্খ মানুষ এতো কিছু বুঝি নাই তাই কিছু বলি নাই সবাইকে এরকম কম টাকা দিছে কেউ কিছু বলে নায়।

দশম শ্রেণীর ছাত্রী মারফিনা আক্তারের বড় বোন মামিয়া বলেন, আমাকে স্কুলে যেতে বলতে আমি ২৬ তারিখে দুপুরে স্কুলে গেছি। ১১টা ৫০মিনিটে আমার নাম্বারে ৫ হাজার টাকা দিছে মোবাইলে মেসেজও আসছে ৫ হাজার টাকার তারপর সেই টাকা ১১টা ৫২ মিনিটের সময়, ০১৬০৮৩৯০৭৮০ নাম্বারে সেন্ডমানি করে নিয়ে যায় প্রধান শিক্ষক। তারপর আমার কাছে ১৭৫০টাকা দেন এবং বলেন টাকা সব আসে নায় কম আসছে তাই সবাইকে ভাগ করে দিতাছি। অথচ স্কুলে ২০জনের সবার টাকাই আসছে কিন্তু সে মিথ্যা বলে সবার কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন।

সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মন্দিরার বাবা মিলন পাডনি বলেন, আমার মেয়ের নামে ৫ হাজার টাকা আসছে সেই টাকা দুইজন ছাত্রীকে নাকি ভাগ করে দিবে তাই আমার মেয়েকে ২ হাজার টাকা দিছে। আর ৫০০টাকা স্কুলের কি কাজে লাগবে তার জন্য রেখে দিছে।

একাধিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক কল দিয়ে স্কুলে যেতে বলে। স্কুলে যাওয়ার পরে যাকে যেরকম ভাবে পারে তাকে সেই রকম ভাবে বুঝ দিয়ে টাকা দেন। আর বলেন স্কুলের কাজের জন্য কিছু টাকা রাখা হয়েছে। তবে আমাদের কাউকে জানায়নি যে আমার মেয়ে ৫ হাজার টাকা পেয়েছে। পরে আমরা জানতে পারি স্কুলের ২০ জন শিক্ষার্থী ৫ হাজার টাকা করে পেয়েছে।

এ বিষয়ে সব অভিযোগ স্বীকার করে অভিযুক্ত আমুয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মনজুরুল হক বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়া হয়েছে। কোন ও অনিয়ম করা হয়নি। আমার রিরুদ্ধে দেওয়া সকল অভিযোগ মিথ্যা।

এ বিষয়ে কাঁঠালিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু. আনোয়ার আজীম বলেন, এ বছরে কাঁঠালিয়া উপজেলার ১১ টি স্কুলে ২০ জন করে শিক্ষার্থীদের জন্য পিবিজিএসআই কর্তৃক ৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। টাকা কমবেশি করার কোন সুযোগ নেই। কেউ অনিয়ম করলে অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

ঝালকাঠিতে শিক্ষার্থীদের অনুদানের টাকা প্রধান শিক্ষকের পকেটে

আপডেট সময় ০৭:৫৮:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার ১১টি স্কুলে পিবিজিএসআই কর্তৃক ৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ পান ২০জন করে শিক্ষার্থীরা। তবে আমুয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনুদানের টাকার ভাগ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমুয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে পিবিজিএসআই এর বরাদ্দকৃত জন প্রতি ৫ হাজার টাকা ওই বিদ্যালয়ের ২০ জন অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের নামে আসে। তবে শিক্ষার্থীদের ৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক কোন শিক্ষার্থীকে দিচ্ছেন ১৭৫০ টাকা, আবার কাউকে দিচ্ছেন ১৯৮০, এবং অনেক জনকে ২ হাজার টাকা করেও দিছেন। বাকি টাকা স্কুলের স্পোর্টসে খরচ করার কথা বলে তার পকেটে রাখেন।

আমুয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সাবিনার বাবা জাকির শিকদার বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে প্রধান শিক্ষক মনজুরুল হক আমাকে ফোন করে বলেন আপনার কিছু টাকা আছে। আপনি স্কুলে এসে নিয়ে যান। স্কুলে যাবার পরে আমার বিকাশ অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার টাকা ট্রান্সফার করেন প্রধান শিক্ষক। এরপর আমার কাছ থেকে তাৎক্ষণিক মোবাইল নিয়ে ৪ হাজা ৯ শত টাকা তার মোবাইলে নেন তিনি। এবং আমার মোবাইলে ১৯ শত ৮০ টাকা রেখেদেন, বাকি টাকা কোথায় গেল এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

দশম শ্রেণীর ছাত্রী তানজিলা আক্তারের বাবা মো. জলিল বলেন, আমাকে প্রধান শিক্ষক কলে দিয়ে স্কুলে যেতে বলে। স্কুলে যাওয়ার পরে প্রধান শিক্ষক মনজুরুল হক স্যার বলেন আমার মেয়ে ২ হাজার টাকা পেয়েছে। তার থেকে ২০০টাকা স্কুলের কি কাজে লাগবে তাই রেখে দিছে আমাকে ১৭শত টাকা আমার হাতে দেন তবে আর ১০০টাকা কোথায় তা জানি না৷ আমি মূর্খ মানুষ এতো কিছু বুঝি নাই তাই কিছু বলি নাই সবাইকে এরকম কম টাকা দিছে কেউ কিছু বলে নায়।

দশম শ্রেণীর ছাত্রী মারফিনা আক্তারের বড় বোন মামিয়া বলেন, আমাকে স্কুলে যেতে বলতে আমি ২৬ তারিখে দুপুরে স্কুলে গেছি। ১১টা ৫০মিনিটে আমার নাম্বারে ৫ হাজার টাকা দিছে মোবাইলে মেসেজও আসছে ৫ হাজার টাকার তারপর সেই টাকা ১১টা ৫২ মিনিটের সময়, ০১৬০৮৩৯০৭৮০ নাম্বারে সেন্ডমানি করে নিয়ে যায় প্রধান শিক্ষক। তারপর আমার কাছে ১৭৫০টাকা দেন এবং বলেন টাকা সব আসে নায় কম আসছে তাই সবাইকে ভাগ করে দিতাছি। অথচ স্কুলে ২০জনের সবার টাকাই আসছে কিন্তু সে মিথ্যা বলে সবার কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন।

সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মন্দিরার বাবা মিলন পাডনি বলেন, আমার মেয়ের নামে ৫ হাজার টাকা আসছে সেই টাকা দুইজন ছাত্রীকে নাকি ভাগ করে দিবে তাই আমার মেয়েকে ২ হাজার টাকা দিছে। আর ৫০০টাকা স্কুলের কি কাজে লাগবে তার জন্য রেখে দিছে।

একাধিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক কল দিয়ে স্কুলে যেতে বলে। স্কুলে যাওয়ার পরে যাকে যেরকম ভাবে পারে তাকে সেই রকম ভাবে বুঝ দিয়ে টাকা দেন। আর বলেন স্কুলের কাজের জন্য কিছু টাকা রাখা হয়েছে। তবে আমাদের কাউকে জানায়নি যে আমার মেয়ে ৫ হাজার টাকা পেয়েছে। পরে আমরা জানতে পারি স্কুলের ২০ জন শিক্ষার্থী ৫ হাজার টাকা করে পেয়েছে।

এ বিষয়ে সব অভিযোগ স্বীকার করে অভিযুক্ত আমুয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মনজুরুল হক বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়া হয়েছে। কোন ও অনিয়ম করা হয়নি। আমার রিরুদ্ধে দেওয়া সকল অভিযোগ মিথ্যা।

এ বিষয়ে কাঁঠালিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু. আনোয়ার আজীম বলেন, এ বছরে কাঁঠালিয়া উপজেলার ১১ টি স্কুলে ২০ জন করে শিক্ষার্থীদের জন্য পিবিজিএসআই কর্তৃক ৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। টাকা কমবেশি করার কোন সুযোগ নেই। কেউ অনিয়ম করলে অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।