
মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্য নিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য, চৌকস, মেধাবী ও মানবিক পুলিশ অফিসার হিসেবে অল্প দিনেই পরিচিতি লাভ করেছেন ওসি নাহিদ হাসান সুমন।
মাদক, চুরি, ছিনতাই, সামাজিক দাঙ্গা ও নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করে স্বল্প সময়ের মধ্যে জন সাধারণের ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরের ১১ তারিখে হোসেনপুর থানায় যোগদানের পর থেকেই একাধিক মাদক ব্যবসায়ী হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আটক করে রীতিমতো অপরাধ প্রবণতা হ্রাস করে জন সন্তুষ্টি অর্জন করেছেন বলে মনে করছেন অনেকে।
এর আগে তিনি জেলার পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে কাজ করে ওই অঞ্চলে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
নেত্রকোনা জেলার মদন থানার বালালি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেণ।
খুঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশ ধার্মিকতার সহিত জীবন যাপন করেন তিনি ও তার পরিবার। আনন্দ মোহন সরকারি কলেজ থেকে বিএসসি (অনার্স), এমএসসি কমপ্লিট করে ২০১০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে যোগদানের পর থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে একের পর এক সততা ও নিরলস পরিশ্রম দিয়ে কাজ করে চলেছেন তিনি।
চাকুরীর সুবাধে নারায়নগঞ্জ, নরসিংদী, করিমগঞ্জ, পাকুন্দিয়া থাকাকালীন প্রতিটি যায়গায় অফুরন্ত সুনাম অর্জন করেছেন। ওসি তদন্ত থাকাকালীন আটবার জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি তদন্ত নির্বাচিত সম্মানে ভূষিত হয়েছেন এ ছাড়াও ২০২০ সালে জানুয়ারিতে ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ অফিসারের পুরুষ্কার গ্রহন করেছেন। ৩ এপ্রিল ২০২৩ অফিসার ইনচার্জ পদোন্নতি পান।
২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার জন্য নির্বাচন কমিশন তাকে প্রসংশা পত্র প্রদান করে।
পুলিশের এই কর্মকর্তার (অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন) প্রশংসা করে সিদলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দীন বলেন, হোসেনপুর থানায় যোগদানের পর থেকে তিনি এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা নিশ্চিত ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে একের পর এক যে অভিযান পরিচালনা করছেন তা সত্যই প্রশংসার দাবি রাখে।
হোসেনপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত, পৌর এলাকায় যানজট নিরসনে বিশেষ অবদান ও উপজেলায় জুয়াসহ অবৈধ খেলা নিয়ন্ত্রণ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে তিনি যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন এভাবে পদক্ষেপ নিলে হোসেনপুর উপজেলায় অপরাধ প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে বলে আমি মনে করি।
হোসেনপুর থানায় সেবা নিতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ওসি স্যারের ব্যবহার অনেক ভালো তাছাড়া থানায় কোন অভিযোগ নিয়ে গেলে তিনি সাথে সাথেই ব্যবস্থা গ্রহণ করে বলেও জানান তারা।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় ওসি নাহিদ হাসান সুমন বলেন, জনগণ পুলিশের বন্ধু, জনগণের সেবায় পুলিশের মুখ্য দায়িত্ব।
তিনি আরো বলেন, যেদিন থেকে পুলিশের ইউনিফর্ম গায়ে দিয়েছি সেদিন থেকেই জনগণের সেবায় নিজেকে নিবেদিত রেখেছি পাশাপাশি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের একক অর্জন বলে কোন কথা নেই যা কিছু অর্জন হয় তা আমাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সম্ভব হয় তবে সেখানে ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশনা থাকে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।