বাংলাদেশ ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষ সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারি শীর্ষ প্রতারক হাবিবুল্লাহ হাবিব কারিকরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিয়া সেতুতে অবৈধ ডাম্প ট্রাক না চলার হুঁশিয়ারি ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে রাঙ্গাবালীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। ইন্দুরকানিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে জোড়া খুন এর মামলায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও আপনজন সম্মাননা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান কে উদ্ধার অপহরণকারী দাদনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাটোরে ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৬ তম বর্ষপূর্তী উদযাপিত। বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার বিএনপি নেতা – কর্মীদের ওপর বোমা হামলার অভিযোগ

গ্রাম বাংলার কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী হারিকেন হারিয়ে যাচ্ছে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:১১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৬৯৩ বার পড়া হয়েছে

গ্রাম বাংলার কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী হারিকেন হারিয়ে যাচ্ছে

হেলাল উদ্দীন (মিঞাজী): পার্বত্য  বান্দরবানে নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘হারিকেন’। হারিকেনকে এক সময় রাত্রিকালীন বন্ধু হিসেবে অনেকেই অখ্যায়িত করত। এক সময় হারিকেন হাতে নিয়ে ডাকপিয়ন ছুটে চলতেন গ্রামের পর গ্রামে। বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সবাই রাতের বেলাই হারিকেন হাতে নিয়ে বের হতেন। হারিকেনের আলো গৃহস্থালির পাশাপাশি ব্যবহার হতো বিভিন্ন যানবাহনে। কিন্তু আধুনিকায়নে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক বাতিতে বাজার ভরপুর। যার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে রাত্রিকালীন আলোর একমাত্র উৎস ঐতিহ্যবাহী হারিকেন।
সরেজমিনে নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, তখনকার সময়ে হারিকেন মেরামতের জন্য উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে মিস্ত্রী বসতো। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি বাজারে ছিল হারিকেন মেরামতের অস্থায়ী দোকান। এরা বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে ঘুরে হারিকেন মেরামতের কাজ করত। এছাড়া অনেকে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে হারিকেন মেরামত করত। কিন্তু এখন আর হারিকেন ব্যবহার না করার ফলে হারিকেন মিস্ত্রীদের এখন আর দেখা যায় না।
নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলার এলাকার ভ্যান চালক বলেন, এক সময় হারিকেন ছাড়া রাতে ভ্যান নিয়ে চলাচল করা যেত না।কিন্তু এখন বাজারে কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের এলইডি লাইট বের হওয়ায় এখন আর হারিকেনের প্রয়োজন হয় না।
বিভিন্ন শিক্ষক বলেন, আগে রাতে পড়তে বসার আগেই হারিকেন নিয়ে টানা টানি করতে হতো।কিন্তু এখন ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। তাছাড়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের এলইডি বাল্ব অনেক কম দামে পাওয়া যায়। যার কারণে এখন আর হারিকেনের প্রয়োজন হয় না।
নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের এক হারিকেন মেকার জানায়, এক সময় নিজের হাতে অনেক হারিকেন মেরামত করেছি। কিন্তু এখন কার সময়ে ঘরে হারিকেন থাকলেও তা কেউ ব্যবহার করে না। এতে মেরামতের কাজ ও তেমন হয় না। যার কারণে এই পেশা ছাড়তে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সময়ের আবর্তে এক সময় হারিকেন দেখতে যেতে হবে জাদুঘরে। নতুন প্রজন্ম হয়তো জানবেও না হারিকেনের ইতিহাস।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা পরিষদের সদস্য ও বাইশারীর কৃতি সন্তানদের গণসংবর্ধনা

গ্রাম বাংলার কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী হারিকেন হারিয়ে যাচ্ছে

আপডেট সময় ০৮:১১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
হেলাল উদ্দীন (মিঞাজী): পার্বত্য  বান্দরবানে নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘হারিকেন’। হারিকেনকে এক সময় রাত্রিকালীন বন্ধু হিসেবে অনেকেই অখ্যায়িত করত। এক সময় হারিকেন হাতে নিয়ে ডাকপিয়ন ছুটে চলতেন গ্রামের পর গ্রামে। বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সবাই রাতের বেলাই হারিকেন হাতে নিয়ে বের হতেন। হারিকেনের আলো গৃহস্থালির পাশাপাশি ব্যবহার হতো বিভিন্ন যানবাহনে। কিন্তু আধুনিকায়নে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক বাতিতে বাজার ভরপুর। যার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে রাত্রিকালীন আলোর একমাত্র উৎস ঐতিহ্যবাহী হারিকেন।
সরেজমিনে নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, তখনকার সময়ে হারিকেন মেরামতের জন্য উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে মিস্ত্রী বসতো। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি বাজারে ছিল হারিকেন মেরামতের অস্থায়ী দোকান। এরা বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে ঘুরে হারিকেন মেরামতের কাজ করত। এছাড়া অনেকে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে হারিকেন মেরামত করত। কিন্তু এখন আর হারিকেন ব্যবহার না করার ফলে হারিকেন মিস্ত্রীদের এখন আর দেখা যায় না।
নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলার এলাকার ভ্যান চালক বলেন, এক সময় হারিকেন ছাড়া রাতে ভ্যান নিয়ে চলাচল করা যেত না।কিন্তু এখন বাজারে কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের এলইডি লাইট বের হওয়ায় এখন আর হারিকেনের প্রয়োজন হয় না।
বিভিন্ন শিক্ষক বলেন, আগে রাতে পড়তে বসার আগেই হারিকেন নিয়ে টানা টানি করতে হতো।কিন্তু এখন ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। তাছাড়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের এলইডি বাল্ব অনেক কম দামে পাওয়া যায়। যার কারণে এখন আর হারিকেনের প্রয়োজন হয় না।
নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের এক হারিকেন মেকার জানায়, এক সময় নিজের হাতে অনেক হারিকেন মেরামত করেছি। কিন্তু এখন কার সময়ে ঘরে হারিকেন থাকলেও তা কেউ ব্যবহার করে না। এতে মেরামতের কাজ ও তেমন হয় না। যার কারণে এই পেশা ছাড়তে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সময়ের আবর্তে এক সময় হারিকেন দেখতে যেতে হবে জাদুঘরে। নতুন প্রজন্ম হয়তো জানবেও না হারিকেনের ইতিহাস।